অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের (৪৫) করোনা শনাক্ত হয়েছে। রবিবার বিকালে ‘নিপসম’ থেকে আসা এই রিপোর্ট পাওয়া মাত্র সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর দেহে এখনও কোন নমুনা পরিলক্ষিত হয়নি। । গত ১৪ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিপসম পাঠানো হয়েছিল। এর আগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস সোয়েবের করোনা পজেটিভ আসে। তাঁর সাথে মিটিং করার কারণেই জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্য থেকে রবিবার জেলা প্রশাসক ছাড়াও প্রশাসনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ হয়েছে। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম শফিক (৪২)। তিনিও তাঁর সরকারি বাসভবনে আইসোলেশনে রয়েছেন। জেলা প্রশাসক সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানান, “কোনরকম উপসর্গ এখনও দেখা যায়নি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।”
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার শুরু থেকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছিলেন। সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাহসী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়া কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কাছে যথাযথভাবে মানবিক সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বেদে সম্প্রদায়সহ তৃণমূল মানুষকে মানবিক সহায়তা পৌছাতে সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায়ও যান। ঝুঁকি সত্ত্বেও জেলাবাসীর স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ২৩৪ টি নমুনার রিপোর্ট আসে রবিবার। ‘নিপসম’ থেকে ১৪ ও ১৫ মে’র এই রিপোর্টে ৩৭ জনের পজেটিভ আসে । এর মধ্যে সিরাজদিখানের ২ জনের ফলোআপ রয়েছে। আরও অন্যান্য উপজেলায় আলোআপ আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। নতুন ৩৫টির মধ্যে শ্রীনগর উপজেলায় ৩, গজারিয়ায় উপজেলায় ৬, সিরাজদিখান উপজেলায় ৫, টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় ৫, লৌহজং উপজেলায ৩ এবং সদর উপজেলায় ১৩ জনের করোনা পজেটিভ। তাই জেলায় করোানা শনাক্ত সংখ্যা ৪ শ’। তবে সদরে ১৩ জনের মধ্যে কোন ফলোআপ আছে কিনা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি।
নতুন করে শ্রীনগরে ১ জন করোনা জয় করেছেন। এই নিয়ে জেলায় ৫৩ জন করোনা জয় করলেন।