রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :
করোনা সংকট মোকাবিলায় গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই প্রণোদনার ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে। তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের শিল্প উৎপাদন ও রপ্তানিবাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় কিছু আপৎকালীন ব্যবস্থা নিয়েছি।তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এই তহবিলের অর্থ দিয়ে কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক থেকে। করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বরাবর  বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বেশকিছু দাবি জানিয়েছে চিঠি দেয়।

চিঠিতে বিজিএমই যেসব দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, পোশাক কারখানার ছয় মাসের মজুরি ও বোনাস, গ্যাস-বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য সুদমুক্ত ঋণ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ স্থানীয় মুদ্রায় দেওয়া। একইসঙ্গে ঋণের অর্থ প্রথম ছয় মাসে না দিয়ে করে পরবর্তী ৩০ মাসে সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা ও পোশাক কারখানাকে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে দেওয়া। প্রণোদনা দাবির ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পিআরসির বিপরীতে সরাসরি ব্যাংক থেকে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

একই সঙ্গে বিজিএমইএ বলেছে, বকেয়া প্রণোদনার অর্থ আগামী মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা দরকার। এ ছাড়া মেয়াদি ঋণের সুদ আগামী ছয় মাসের জন্য মওকুফ ও ঋণ শ্রেণিবিন্যাসের সময় ১৮০ দিন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করেছে রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাতের ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। ব্যাক টু ব্যাক ঋণত্র সময়মতো পরিশোধ না করলে ফোর্স ঋণ সৃষ্টি না করার দাবি জানানো হয়েছে।

করোনাসহ বিভিন্ন কারণে পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে—দাবি করে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি আয়ের যেটুকু অংশ দেশে আসবে, তার ওপর ডলারপ্রতি ৫ টাকা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.