সাভার উপজেলা প্রতিনিধি :
সাভারের আশুলিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলামের আনন্দ মিছিলে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক বিরূপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ১৯ আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গতকাল বুধবার রাতে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় লন্ডনাস রেষ্টুরেন্টের সামনে মারামারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে উপস্থিত প্রত্যেক সাংবাদিকের মোবাইল ও ক্যামেরা চেক করা হয়। এমন আচরণে বিব্রত ও হতভম্ব হয়েছেন বলে দাবী স্হানীয় সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগকৃত চেয়ারম্যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আশুলিয়ায় আনন্দ মিছিল শেষে পল্লীবিদ্যুত এলাকার লন্ডনেস রেষ্টুরেন্টের সামনে খিচুরী বিতরণের সময় হট্টোগোল সৃষ্টি হয়। এসময় সেখানে স্থানীয় হাসান মন্ডলের সমর্থকদের সাথে একাধিক হত্যা মামলার আসামি সুলতান ও তার লোকজন মারামারিতে লিপ্ত হন।
ঘটনাটি কয়েকজন সাংবাদিক চিত্র ধারণ করলে উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের আটকে রেখে তাদের মোবাইল ফোন, ক্যামেরা চেক করেন মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন। এসময় সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সংবাদকর্মী।
এর আগে, গত সোমবার আশুলিয়ায় যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এক কর্মীকে পেটান থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। সেই ঘটনার মত আজকের ঘটনাটি নিয়ে যেন বিতর্ক সৃষ্টি না হয় এজন্য ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এমটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।