Doinik Bangla Khobor

সাতক্ষীরার তালায় আকিমদ্দী হত্যাকারী মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী কোপা সাকু ওলি বাহিনী বেপরোয়া

বিশেষ প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরা তালার মূর্তিমান আতঙ্ক বিএনপি পন্থী ভয়ংকর সন্ত্রাসী কোপা সাকু কোপা ওলি বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীরা দলবল নিয়ে (৬-ডিসেম্বর-২০০০) ইং তারিখ সকাল (৭)ঘটিকায় তালা উপজেলার কলাগাছি গড়ের আবাদের বিলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে বৃষ্টির মত বোমা ফাটিয়ে এবং কুপিয়ে তালা উপজেলার হরিহরনগর গ্ৰামের আকিমদ্দীন গোলদারকে হত্যা করে সেই লাশ কাঁধে করে এনে এলাকায় উল্লাস করেছিলো এবং এলাকাবাসীকে নিজেদের হিংস্রতা দেখিয়ে ছিল। যে মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান। বর্তমানে কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভয়ংকর এই হত্যা মামলা থেকে এই সন্ত্রাসীরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ভয়ংকর বিভৎস এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর থেকে এই সন্ত্রাসীদের নামের আগে কোপা যোগ হয়ে যায়, এর পর থেকে এই সন্ত্রাসীদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক অপরাধ করে গেলেও ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস এলাকায় কেউ রাখেনা । কোনো অন্যায় অপরাধ করলে কেউ এই ভয়ংকর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায়না, আবার এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও সাক্ষী দেয়ার কেউ সাহস রাখেনা। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করলে সাংবাদিকের ওপরও সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট চালায় ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীরা ও তাদের দলবল। সন্ত্রাসী সাইকুল ইসলাম (কোপা সাকু) ও তার ভাই সন্ত্রাসী কোপা ওলি তালা উপজেলার মুড়াগাছা গ্ৰামের মৃত আবুল কাশেম শেখ (কোদন শেখ)র ছেলে। কন্ট্রাকে দাদনের টাকা আদায় করে দেয়ার জন্য রফি নামের এক ব্যক্তিকে তুলে আনার ঘটনায় সন্ত্রাসী কোপা সাকুর বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহ করায় গত (৩০-মে) ২০২২ ইং তারিখ রাতে শালিখা কলেজের সামনে প্রতিবন্ধী সাংবাদিক ও প্রতিবন্ধী নেতা শেখ সিরাজুল ইসলামের ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট চালায় সন্ত্রাসী সাকু ও তার বাহিনী। এরপর (১৩-ই) জুন ২০২২ ইং তারিখে আবারো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিরাজুলের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীদের দলবল। এরপর গত (২৪) জুলাই ইং বিকাল ৫ ঘটিকার সময় সন্ত্রাসী কোপা সাকু, কোপা ওলি, রাব্বি দলবল নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট চালায় এবং (২০) আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখ বিকালে সন্ত্রাসী সাকু ধারালো অস্ত্র নিয়ে সিরাজুলের বাড়িতে আবারো হামলা চালায়। বর্তমানে সন্ত্রাসীরা তাদের বিরুদ্ধে সিরাজুলের করা মামলা তুলে নিতে এবং মামলা তুলে না নিলে সিরাজুলকে পরিকল্পিতভাবে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী সাকু ওলি জামাত বিএনপির ভয়ংকর তান্ডব চলাকালীন সময়ে তালা সাতক্ষীরায় হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নাশকতা সহ রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত। বিএনপি পন্থী ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের ইউনিয়নের আওয়ামী পন্থী একজন সাবেক চেয়ারম্যান এলাকার পাতি নেতা মাতব্বর এবং ইউনিয়ন উপজেলা পর্যায়ের কিছু আওয়ামী নেতা জনপ্রতিনিধি টাকার বিনিময়ে এবং প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের ব্যাবহারের জন্য শেল্টার দেয়া সহ লালন পালন করছে বলে জানাগেছে। সন্ত্রাসীরা কিছু আওয়ামী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে সন্ত্রাসী কোপা সাকু ওলি এলাকার মুর্তীমান আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসী সাকু ওলি সহ তাদের দলবল যত বড় অপরাধ করূক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কেউ রাখেনা, সব দেখেও সবাইকে বোবা হয়ে থাকতে হয় অথবা ভয়ে সবাইকে এই সন্ত্রাসীদের পক্ষে গুনগান গাইতে হয়। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বললে শুরু হয় হুমকি হামলা নির্যাতন, এবং এই সন্ত্রাসীরা ও সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকরা এলাকায় তাকে কোন ঠাসা করে রাখে। বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী ওলি সাকু সহ তাদের দলবল ইউনিয়নের একজন সাবেক আওয়ামী পন্থী চেয়ারম্যান সহ কিছু নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে সরকার পতনের আন্দোলন সহ বিশৃঙ্খলা নাশকতার জন্য দলবল নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বলে জানাগেছে। খুন দখলবাজি হামলা লুটপাট দস্যুতা অবৈধ লেনদেনের টাকা আদায় অসামাজিক নারী কারবার দালালি প্রতারনা সহ এমন কোন অপরাধ নেই যা টাকার বিনিময়ে এই সন্ত্রাসীরা করে না। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা গাছকাটা দখলবাজি হামলা লুটপাট সহ বিভিন্ন মামলা। শালিখা এলাকা এই সন্ত্রাসীদের কুকর্মের মূল ঘাঁটি। এই এলাকায় এই সন্ত্রাসীরা বা এদের হুকুম ছাড়া নারী ঘটিত সহ কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়না। সন্ত্রাসী সাকুর বিরুদ্ধে শালিখা এলাকায় প্রতারনার ফাঁদে ফেলে এক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে সেই মেয়েকে গর্ভবতী করার তথ্য পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী ওলির বাড়িতে প্রথম স্ত্রী সন্তান ছাড়াও শালিখা এলাকায় আমেনা নামের এক দিন মজুর স্ত্রী এবং ওলিফা নামের আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে, সন্ত্রাসী প্রতারক সুচতুর ওলি দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা ও মেয়েকে কখনো বাড়িতে আশ্রয় না দেয়ায় নিজের এবং মেয়ের পেটের জ্বালায় আমেনা ওন্যের ক্ষেতে দিন মজুরি করে। দিন মজুর স্ত্রী আমেনা ও শিশু মেয়েকে বাড়িতে আশ্রয় না দিলেও সুচতুর ওলি আমেনার দিন মজুরি করা টাকায় নিজের প্রথম পক্ষের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো সহ প্রথম পক্ষের সংসারে খরচ করে আসছে বলে জানাগেছে। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীরা এলাকায় হামলা লুটপাট সহ সন্ত্রাসী কাজে নিজেদের স্ত্রী ছেলে মেয়েদের ও ব্যাবহার করে। ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের স্ত্রী ইয়াসমিন, রত্না, সাকুর মাদকাসক্ত বখাটে মাস্তান ছেলে রাব্বি, ওলির মেয়ে রাবু সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট মামলার আসামি বলে জানা গেছে। এই সন্ত্রাসীদের পরিবার এলাকায় চিহ্নিত বিভিন্ন কুকর্মকারী ভয়ংকর সন্ত্রাসী পরিবার হিসেবে পরিচিত। নিরিহ জনগণ ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।বিএনপি পন্থী ভয়ংকর এই সন্ত্রাসীদের ভয়ংকর থাবা থেকে মুক্তি চায় নিরীহ জনগন।