মোঃ রিপন আশুলিয়া থেকে :
ঢাকার সাভারে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগে একটি সেমাই কারখানাসহ দু’টি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কারখানা দু’টিকে চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানা ও কাজীমোকমাপাড়া এলাকার রেবা রানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান। র্যাব ৪ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানার মালিক ইমরান হোসেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ মিশিয়ে সেমাই তৈরির অভিযোগে কারখানাটির মালিক ইমরান হোসেনকে নগদ তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে তিন মাসের কারদন্ড প্রদান করেন। সেইসাথে কারখানাটি থেকে চার’শ লিটার পোড়া তৈল,বেশ কয়েক কেজি সেমাই, ডালডাসহ নানা উপকরণ জব্দ করা হয়। অনিক ফুড কারখানাটি ইঁদুর ও তেলাপোকার কসবাস বলে দেখা যায়। এছাড়াও নোংড়া মেঝেতে গবাদিপশুর মল-মুত্র রয়েছে। অন্যদিকে সাভারের নামাবাজারের কাজীমোকমাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিমকিসহ নানা খাদ্যপণ্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো রেবা রানী কারখানার মালিক দুলাল সাহা । ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে মালিক দুলাল সাহাকে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসিনুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা নোংরা পরিবেশে কেউ খাবার তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এসব মুখরোচক খাবার খেয়ে অসুষ্থ হয়ে পরছে শিশুসহ অনেকে। সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সয়েমুল হুদা বলেন, কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি করা সেমাই, নিমকি, চানাচুরসহ এ জাতীয় খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে। অভিযানে এসময় র্যাব ৪ এর সিনিয়র এএসপি উনু মংসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।