সিডিআর তলব না করে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর পক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ

অপরাধ

বিশেষ প্রতিনিধি :
সিডিআর তলব না করে সিএমপির বন্দর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বর্তমানে সিলেট জেলা মাদক বিরোধী সেলের কর্মকর্তা সুকান্ত চক্রবর্তীর (বিপি-৭৫০২০৫৫৩১৮)পক্ষে অনুসন্ধান পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব কুমার দেব এর বিরুদ্ধে। সিডিআর তলব না করায় ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর কুকর্ম বাহির হয়নি। সিলেট ডিআইজি’র কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব কুমার দেব(বিপি-৬৬৮৮১০৬৯৪৯) শুরু থেকে দায়সারা প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ পরিদর্শক সুকান্ত চক্রবর্তীকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে আসছে। অনুসন্ধান চলাকালীন সিডিআর তলব করার জন্য গত ২৮-১২-২০২০খ্রিঃ সিলেট রেঞ্জ এর ডিআইজি’র কাছে লিখিত আবেদন করেন সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ, ডিআইজি সিডিআর তলব এর আবেদন আমলে নেননি। জানা যায় ২০১৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের ওয়াচম্যান বুকিং সেলের ১৭/ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পায় সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ। ১৭/ কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য প্রদান করতে তথ্য কমিশন বন্দর সচিব মোঃ ওমর ফারুককে নির্দেশ দেন। তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্তপত্র নং-৪৩৮/২০১৮। ১৭/ কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য গ্রহন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে চবক থেকে হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে। গত ১৯-০৬-২০১৯ইং তারিখ সকালে বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর সরকারী মোবাইলে কল করে সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ জিডি করার পরামর্শ নিয়ে থানায় যায়। কুমিল্লা থেকে সিএমপি’র বন্দর থানায় যেতে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা বেজে যায়। বন্দর থানা ভবনের ৩য় তলায় ডিউটি অফিসার এর কক্ষে জিডি করতে যায় সাংবাদিক রিয়াজ। ডিউটি অফিসার ছিলেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) নিদুল চন্দ্র কপালি (বিপি-৮৩০৩০৩৯৮৫২)। সাংবাদিক এর জিডি/অভিযোগ গ্রহন করবে কিনা পরামর্শ নিতে এসআই নিদুল চন্দ্র কপালি ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর কক্ষ ২য় তলায় যায়। এর মধ্যে সাংবাদিক রিয়াজ মোবাইলে কল করেন বন্দর থানার এএসআই জহিরকে। এএসআই জহির বলেন রাত ৮টায় থানায় ডিউটি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, চা পান করার দাওয়াত দেন সাংবাদিককে। ৩০ মিনিট পর নিদুল চন্দ্র কপালি সাংবাদিক রিয়াজকে জানান ওসি স্যার বলেছে ২য় তলায় যাওয়ার জন্য। কুখ্যাত ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী সাংবাদিকের জিডি/অভিযোগ গ্রহন না করে থানা থেকে বাহির করে দেয়। থানা থেকে বাহির করার ৬দিন পর ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী ১৭/ কোটি টাকা আত্মসাতকারীদের পক্ষে সাংবাদিকসহ ৫জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করে। মামলা নং-২২, তারিখ-২৬-০৬-২০১৯খ্রিঃ। মামলার বাদী যেহেতু ১৭/ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে তাই ওসিকে মোটা অংকের ঘুষ দেওয়া হয়। গোপনে গত ১৮-০৭-২০১৯ইং তারিখ রাত ১২টার পর কুমিল্লার লাকসামের বাসা থেকে সাংবাদিক রিয়াজকে গ্রেপ্তার করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রবিউল ইসলামের সাথে এসআই নিদুল চন্দ্র কপালি পাঠায় ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী। সাংবাদিক রিয়াজকে এসআই নিদুল চন্দ্র কপালী সনাক্ত করে হেন্ডকাপ পরান। গত ১৯জুন সাংবাদিক রিয়াজ জিডি করতে যান এসআই নিদুল চন্দ্র কপালির কাছে তাই সহজে চিনে পেলে এসআই নিদুল চন্দ্র কপালি। গত ২২-১০-২০২০খ্রিঃ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত সাংবাদিকসহ ৫জনকে অব্যাহতি প্রদান করেন। গত ২৫-১০-২০২০খ্রিঃ পুলিশ সদর দপ্তরে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদিক রিয়াজ। পুলিশ সদর দপ্তর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিলেট ডিআইজিকে অনুসন্ধান পূর্বক মতামত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। সিলেট ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ,পিপিএম, বিপি নং-৭১৯৮০৬৩৫৮১ অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব কুমার দেবকে দায়িত্ব দেন। ঘটনার সময় ও তারিখে ডিউটি অফিসার ছিলেন এসআই নিদুল চন্দ্র কপালি,কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩.(গ) এ স্বাক্ষীর কলামে দেখান এএসআই জহির উদ্দিনও একই দিন সকাল ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন যা সত্য নহে, কারণ সাংবাদিক ঘটনার সময়ে ডিউটি অফিসার এর কক্ষে বসে এএসআই জহির উদ্দিনকে মোবাইলে কল করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার সিডিআর তলব করতে ভয় পেয়েছে। কারণ সিডিআর তলব করলে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর সকল কুর্তি প্রকাশ হয়ে যাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ পরিদর্শক সুকান্ত চক্রবর্তীর পক্ষে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য সুকান্ত গাড়ি ভাড়া ও খাওয়ার টাকাসহ ভাতার ব্যবস্থা করেছিল। যারা ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর পক্ষে স্বাক্ষী দিয়েছে তারা হলেন, এসআই নিদুল চন্দ্র কপালি, এএসআই জহির উদ্দিন, কং/২৬০৩ মোঃ নিজাম উদ্দিন, বিপি-৭২৯১০০৮৬২৪, কং/৫২৩৬ সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা, বিপি-৯৬১৫১৮৬৩৮৪, কং/৩৮৫৮ প্লাবু বড়–য়া, বিপি-৭০৮৯০৪৪৭০২, কং/৩২৮০ রাজু বড়–য়া, বিপি-৯০১১১৫৫৩৭৭, নারী কং/৪৫২২, শামীমা সুলতানা রিফা, বিপি-৯২১১১৩৯১৫৪, নারী কং/৪৮৩৪, ফরিদা আক্তার, বিপি-৯৫১৫১৮৬৩৭৬, নারী কং/তাসলিমা আক্তার, বিপি-৯৪১৪১৭০৮০০, তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব কুমার দেব গত ০৪-০৩-২০২১ইং তারিখ সিডিআর তলব না করে মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরি ও পেশ করে ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ,পিপিএম এর নিকট। ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজীব কুমার দেব এর সিডিআর তলববিহীন প্রতিবেদনে একমত পোষন করে গত ০৮-০৩-২০২১খ্রিঃ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। গত ২০-০৩-২০২২খ্রিঃ পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড পাবলিসিটি) মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম (বিপি-৭৭০৬১১৫২২৬) সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদকে প্রতিবেদনের ১২/-পাতা ফটোকপি প্রেরণ করেন। সাংবাদিক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ গত ০৭-০৪-২০২২খ্রিঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.