বিশেষ প্রতিনিধি :
ঢাকা - ফেনী রোডে স্টার লাইন পরিবহন বাস যোগে যারা যাতায়াত করেন তাদের বেশিরভাগ যাত্রীই কুমিল্লায় হোটেল যাত্রা বিরতিকে বিরক্তিকর মনে করেন। কারণ ফেনী থেকে কুমিল্লায় আসতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ মিনিট। আর এই ৩০-৪০ মিনিট গাড়ি চালিয়েই হোটেল বিরতির নামে এক অসহ্য বিরম্বনার শিকার হতে হয় যাত্রীদের। আবার ঢাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটের রাস্তা বাকি থাকতেই কুমিল্লায় আবারও হোটেল বিরতির নামে একটা তামাশা চালিয়ে যাচ্ছে স্টার লাইন কোম্পানীর বাস সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানে জানা যায়, যে সব হোটেল গুলোতে স্টার লাইন গ্রুপের বাস গুলো যাত্রা বিরতি দিচ্ছেন প্রত্যেকটি হোটেলের সাথে স্টার লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ শর্ত সাপেক্ষে লাখ লাখ টাকার মাসিক চুক্তিতে বাস গুলো যাত্রা বিরতি দেন, এই সুযোগে হোটেল মালিকরাও যাত্রীদের কেনাকাটায় গলা কাটা ব্যবসায় মেতে উঠেন। ফেনী ঢাকা রোডে মানসম্মত অন্য কোন পরিবহন না থাকায় স্টার লাইন কর্তৃপক্ষ হোটেল বিরতি নামে ফেনীর মানুষের সাথে তামাশা করছে বলে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই। স্টার লাইনে চলাচলরত যাত্রীরা জানান, ফেনীতে আগের মতো অন্য কোন পরিবহন থাকলে কেউ স্টার লাইনে যাতায়াত করতো না। যাত্রীরা ক্ষোভের সহিত বলেন, স্টার লাইনের মালিক আলাউদ্দিন সাহেব এতোটাই লোভী যে তিনি ফেনীর মানুষের আবেগ নিয়েও ব্যবসা করেন।তা না হলে ফেনী থেকে ঢাকায় যেতে যেখানে সর্বোচ্চ তিন ঘন্টা লাগে সেখানে গলাকাটা হোটেলের সাথে লাখ লাখ টাকা মাসিক চুক্তি করে যাত্রা বিরতির নামে রাস্তায় গাড়ি থামাতে হবে কেন?।
কথা হয় ঢাকা টিটি পারায় ফেনী থেকে ছেড়ে আসা স্টার লাইনের এসি বাসে আসা দুইজন যাত্রীর সাথে, তারা গণমাধ্যমকে জানান, আজ ২৩ মার্চ রোজার দিন ভোর ৫:৫৫ মিনিটে ফেনী থেকে এসি বাসটি ছেড়ে আসে এখন সাড়ে আট টা বাজে রাস্তায় কোন প্রকার হোটেল যাত্রা বিরতি ছাড়া মাত্র আড়াই ঘন্টায় ঢাকা এসে নামলাম। তারা বলেন, স্টার লাইন পরিবহনের বাস সার্ভিসের জন্য আজ একটা ইতিহাস। তারা জানান, কুমিল্লায় হোটেল যাত্রা বিরতির কারণে অন্যান্য সময়ে কমপক্ষে সাড়ে তিন ঘন্টা যাতায়াতে সময় লেগে যায়।
আরো দুইজন যাত্রী জানান, রোজার মধ্যে গত কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে রাত সাড়ে এগারটায় লাস্ট টিবে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই এতো রাতেও তারা হোটেল বিরতি দিয়ে ২০ মিনিটের কথা বলে পাক্কা ৪৫ মিনিট গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকে
যাত্রীদের মতে স্টার লাইনে যাতায়াতরত ফেনীর শতকরা ৯০ % যাত্রীর দাবি তারা স্বল্প সময়ে মধ্যে অহেতুক হোটেল বিরতি চায় না। তাদের দাবি মাত্র আদ ঘন্টার রাস্তায় হোটেল বিরতির প্রয়োজন নেই। তারা জানান,স্টার লাইনের টিকেট কাটতেও তাদের বহু ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়,এবং তুলনামুলক ভাবে ভাড়াও বেশি। ফেনীতে অন্য কোন ভালো পরিবহন সার্ভিস না থাকায় স্টার লাইন কর্তৃপক্ষ তাদের মন যা চায় তাদের খেয়াল খুশি মতো পরিবহনটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্টার লাইন পরিবহনে যাতায়াত করা বহু যাত্রীর অভিযোগ স্টার লাইন কোম্পানী ফেনীর মানুষের আবেগ নিয়ে তামাশা করছে। যে সকল হোটেল গুলাতে তারা যাত্রা বিরতি দেন প্রত্যেকটি হোটেলে স্টার লাইন কোম্পানীর "সেইফ" নামের পানি ছাড়া কোন পানি তারা বিক্রি করছে না।স্টার লাইন কোম্পানীর বোতলজাত পানি কতটুকু স্বাস্হ্যসম্মত সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যাত্রীদের" মাম " সহ নামিদামী ব্রান্ডের পানির চাহিদা থাকার সত্বেও তারা যাত্রীদের স্টার লাইন কোম্পানীর পানি পান করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্টার লাইন কোম্পানীর ব্যবসায়ী আগ্রাসন থেকে বাঁচতে এবং ফেনী মানুষের আবেগের সাথে তামাশা না করে হোটেল বিরতিহীন যে কোন পরিবহন সার্ভিস এসময়ে ফেনীর মানুষের দাবী। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে যাত্রা বিরতি বন্ধে ব্যবস্হা না গ্রহন করা পর্যন্ত নিউজ চলবে।