স্টাফ রিপোর্টার :
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের আরিছপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সরকারি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য টিকা না দিয়ে ভুয়া সনদ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান,অনেক মানুষের অভিযোগ আরিছপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য গেলে টাকার বিনিময়ে সরকারি ঔষধ দেন।২০ টাকা,৩০ টাকা ৫০ টাকা,১০০ টাকা, ২০০ টাকা গরিব অসহায় মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে থাকেন টাকা না দিলে সরকারি কোন ঔষধ দেন না।
আরো জানা যায়,বর্তমানে করোনা উপলক্ষে প্রবাসী মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যাবসা করে আসতেছেন।করোনার সার্টিফিকেট বিক্রি করে আসতেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সহ অনেকেই জানান যে,ফাইজার বায়োন্টেকের সার্টিফিকেট নাকি ১৩ হাজার টাকা,মডার্ণার সার্টিফিকেট নাকি ১৬০০ হাজার,সিনোফার্মার সার্টিফিকেট নাকি ৩ হাজার ৬ হাজার এমন ধরনের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ অর্থ।
পরে এলাকার স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় যে,সরকারি বরাদ্দকৃত আসবাবপত্র ক্লিনিকে ব্যবহার না করে তাহার বাসায় ব্যবহার করে। এবং কোনো রোগী আসলে তাহাকে বিভিন্ন ছলনামহি কথা বলে তাহার নিজের চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন।কোন রোগী আসলে তাহাকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং ক্লিনিকের ঔষধ কোন রোগীকে দেন না বরং এগুলো টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে থাকেন,নিজের ফার্মেসিতে।এসময় রোগীরা সরকারি ঔষধ দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এগুলো সরকারি আমরা টাকা দিয়ে কিনবো কেন।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১৬ জনের নামের একটি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনা তদন্ত করেন মনতলা পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম তিনি জানান ঘটনার সঠিক ভাবে প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।