আল-সাইমুম আহাদ, হবিগঞ্জ থেকে :
গত ১১ জুলাই রবিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বিবদমান পুকুরের বিষয়টি মিমাংসার পরেও বিবাদি পক্ষ মুশাহিদ মিয়া গং কর্তৃক নতুন করে আবার অন্যদিকে জোরপূর্বক সিমানা পিলারমারাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্দার জের ধরে বিবানেগণের বাড়ি সংলগ্ন গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিজ বাড়ির দিকে আসা মুহূর্তেই আক্রমণের শিকার হয়ে নিহত হন প্রবাসি শাহ ফয়সল (৩০)।
নিহতের ছোট শাহ মিল্লাত হোসেন ফারহান জানান, ধুম্রজাল সৃষ্টি করে তারা এখন তারা নিজেদের বাচাতে মরিয়া, আসামী পক্ষের মহিলারা খুনের ১ মাসের মধ্যে বাড়ীতে এসেই ফন্দি করে আমার নিহত ভাই শাহ ফয়সল হত্যা মামলার সাক্ষীসহ আমার চাচাতো শাহ ফয়জুল কবিরকে প্রধান আসামি করে আমাদের ১৪ জনের বিরুদ্ধে এবং ২০\ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও লূটপাটের মিথ্যা মামলা দেয়। এদিকে আসামিদের ধরতে না পারায় ও মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় আমার মা ও ভাবি শয্যা শায়ী হয়ে পরেছেন।
জানা যায়, প্রবাসি শাহ ফয়সল হত্যার ১ মাস পরেই তার একটি ফুটফূটে মেয়ে সন্তান হয়, মৃত্যুর আগে তিনি ছেলে হলে আনাছ ও মেয়ে হলে মায়মুনা নাম টিক করে রেখেছিলেন। কিন্তু মেয়ের মুখ আর তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
গত ১১ আগস্ট মামলা পিবিআই এর কাছে গেলে পিবিআইর পরিদর্শক মোঃ আব্দুল মালিক ঘটনাস্তল পরিদর্শন করে আসেন এবং সাংবাদিকদের জানান, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।