মরার পর পুনরায় সাপ হয়ে ফিরে এলেন কাউয়ার মা

অন্যান্য

বিশেষ প্রতিবেদক :
মৃত্যুর পর সাপের বেশে ফিরে এসেছেন এক বৃদ্ধা! এমন গুজব আর গুঞ্জনে তুলকালাম চলছে চট্টগ্রাম নগরীর বিশ্ব কলোনিতে। মৃত বৃদ্ধার আত্মা ভেবে অনেকেই সাপটিকে খাওয়াচ্ছে দুধ-কলা।

গত ১৯ নভেম্বর নিজ ঘরে পুড়ে মারা যান রেজিয়া নামের ওই বৃদ্ধা। আর ঘটনাকে ধর্মীয় গোঁড়ামি বলছেন অনেকেই। তবে একটি শ্রেণি বিশেষ উদ্দেশে এটি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লোকমুখে রটে গেছে এটি সাপ নয়। পুড়ে মারা যাওয়া বৃদ্ধা রেজিয়া আক্তারের আত্মা। কারণ তিনি ধার্মিক ও দরবারের ভক্ত ছিলেন। তাই আল্লাহর উছিলায় ও কুদরতে সাপ হয়ে ফিরে এসেছেন মানুষের মাঝে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাপকে ঘিরে জ্বলছে মোমবাতি আর আগরবাতি। অনেকেই যত্ন করে খাওয়াচ্ছেন দুধ-কলা। সাপটিকে নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুজব আর গুঞ্জন। এটাকে অলৌকিক বলছেন অনেকেই।

বিষহীন জল ডোরা সাপটি দেখতে প্রতিদিন চট্টগ্রামের বিশ্ব কলোনিতে বৃদ্ধার পোড়া বাড়িতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক ও কৌতূহলি মানুষ। বারবার তাড়ানোর পরও এক সপ্তাহ ধরে যায়নি সাপটি। তাই রহস্য আর কৌতূহলের শেষ নেই মানুষের মাঝে।

পুরো এলাকা গুজব রটে গেলেও ক্ষুব্ধ কিছু এলাকাবাসী। তারা বলছেন, এটা ধর্মীয় গোঁড়ামি। ইসলাম ধর্ম এ ধরণের ঘটনা সমর্থন করে না। শীতের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে পাশের পানা পুকুর থেকে ডাঙায় উঠে এসেছে সাপটি।

এলাকাবাসী বলছেন, এটি জল ডোরা সাপ। সাধারণত বিষহীন এ সাপটি পুকুরে থাকে। শীতকালে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যে ডাঙায় উঠে আসে। এটাও ডাঙায় উঠে আসা সাপ।

জানতে চাইলে কলোনির বাসিন্দারা বলেন, মৃত মহিলা দরবার শরীফের ভক্ত ও পীর কামেল টাইপের মানুষ ছিলেন। সাপটি যেহেতু কোথাও যাচ্ছে না, তাই আমরা একে যত্ন করে লালন করছি।

এটা কি সাপ জানতে চাইলে তারা বলেন, গতকাল কয়েকজন বেদে এসে নিশ্চিত করেছে এটা জল ডোরা সাপ।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের কেউ কেউ মনে করেন, রেলওয়ের জায়গায় গড়ে উঠা এ কলোনিটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো মৃত রেজিয়া। সেই মারা যাবার পর অনেকের চোখ পড়েছে জায়গার দিকে। হয়তো বা এদের কোনো ফন্দিও হতে পারে।

গত ১৯ ডিসেম্বর ভোররাতে চট্টগ্রামের আকবরশাহ এলাকার বিশ্ব কলোনিতে নিজের বাসায় আগুনে পুড়ে মারা যান বৃদ্ধা রেজিয়া আক্তার। প্রতিবেশীর কাছে তিনি “কাউয়ার মা” নামে পরিচিত। তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে আগুন থেকে বের করা গেলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.