আগামীতে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ – পাপন

খেলা

ক্রীড়া প্রতিবেদক :
বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বণ্টন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আইসিসি। নতুন চক্রে আইসিসি টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নির্ধারণ হবে বিডিং প্রক্রিয়ায়। বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আইসিসির বর্তমান চক্র শেষ হবে ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালে শুরু হবে আট বছর মেয়াদী পরবর্তী চক্র। এই সময়ে ছেলেদের আটটি, মেয়েদের আটটি ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের আটটি- মোট ২৪টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে আইসিসি। এর মধ্যে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সবই আছে।

আর এসব টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নির্ধারণ হবে বিডিং (স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদন) প্রক্রিয়ায়। নতুন এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আগে আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন দেশ সফর করে তাদের সক্ষমতা যাচাই করে দেখছেন।

সেই ধারাবাহিকতায় একদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মানু সোয়ানি ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার) ক্যাম্পবেল জেমিসন। সোমবার বিসিবি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দুজন বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও।

বৈঠক শেষে নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছেন, আইসিসি টুর্নামেন্টগুলো আগে যেভাবে বন্টন করা হতো এর সঙ্গে এবার বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। আগে এগুলো ঘুরে ঘুরে হতো, মহাদেশীয় ভিত্তিতে হতো। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলো এখানে ছিল। বোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তা বলে হতো। এবার ওরা যে প্রক্রিয়াটা করেছে বিডিং। ফিফা এবং অলিম্পিকে যেটা করে সাধারণত। দেশগুলো বিড করবে। এটা শুধু ক্রিকেট খেলা দেশগুলোর জন্য না, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত।

আইসিসি বিডিং পদ্ধতিতে গেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বাগতিক হতে বাংলাদেশ আবেদন করবে বলেও নিশ্চিত করেছেন বোর্ড প্রধান, বাংলাদেশ অবশ্যই বিড করবে। আমাদের সুবিধাটা হচ্ছে অন্য নতুন কোনো দেশ যদি করতে চায় তারা পারবে, কিন্তু তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে অনেক টাকা লাগবে। ছেলেদের একটা বিশ্বকাপ করতে গেলে আটটি স্টেডিয়াম লাগবে। অনেক দেশ আছে যাদের আটটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নেই। আমরা এবং বেশিরভাগ টেস্ট খেলুড়ে দলের সুবিধা হচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়নে (বিনিয়োগ) লাগছে না সরকারের তরফ থেকে।

এক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ সেখানে ভালো অবস্থানে আছে বলেই জানালেন নাজমুল হাসান, এখানে নিরাপত্তার ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি জায়গা আছে যেখানে মানুষ যেতে একটু ইতস্তত করে। অবশ্যই সবচেয়ে ভালো বাংলাদেশ। আমরা ভালো আছি। ভারতে হলেও নিরাপত্তা ইস্যু দেখবে। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি ফ্যাক্টর। এজন্য তারা এসেছে। আরও অন্যান্য জায়গায় তারা যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.