আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন দেশের শীর্ষস্থান দখল করে আছে

অন্যান্য

মোঃ মাসুম পারভেজ :
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে, রক্ত দিবো হেসে হেসে, এই স্লোগান কে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে বিনা শর্তে বিনা স্বার্থে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই এক ফোটা রক্তের জন্য যেনো কোন মানুষের প্রাণ না যায়। আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয় ২১ শে জুলাই ২০২১ ।

যেখানেই রক্তের প্রয়োজন সেখানেই ছুটে যান তারা। সারা দিনের কর্মব্যাস্ততা শেষে কিংবা কাজের কোনো ফাকে যদি কখনো খবর পেয়েছেন কোথাও কোনো মূমূর্ষ রোগীর রক্ত লাগবে তাহলে তারা উঠে পড়ে লাগেন সেই রোগীকে তার পর্যাপ্ত পরিমান রক্তের জন্য। এটা কোনো গল্প নয় আমি বলছি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কথা। আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন নিরলসভাবে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মজনু মিয়া বলেন, রক্তের অভাবে বাংলাদেশে রোগীদের অনেক বিপদে পড়তে হয় । এমনকি অনেক রোগীকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহব্বায়ক মোকলেছুর রহমান, বলেন কেউ যেনো রক্তের অভাবে কোন সমস্যায় না পড়ে কিংবা কাউকে যেনো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে না হয় সে জন্য আমি আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন গড়ে তুলি। শুরু করার কিছুদিন পর আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশনের নাম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এবং এক বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি হয় । প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় মোট ৪০০০(চার হাজার) উর্দ্ধে রোগীকে রক্তের ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন এই ব্লাড ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠানটি।

রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করছে । কখনো জনসচেতনতামূলক কিংবা কখনো ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। গত সোমবার ২১ শে ফেব্রুয়ারি আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন গাইবান্ধা জেলা সদর থানার কুপতলা বাজারে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নিণর্য় ক্যাম্পেইন করেছেন। সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বেচ্ছাসেবীরা প্রায় ৫২০ জন মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছেন। আয়োজন করেছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহব্বায়ক মাহমুদুর রচি, আলফাজ হোসাইন । সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিলেন কুপতলা ব্লাড ডোনারস এসোসিয়েশন। এবং সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সাংবাদিক মাসুম পারভেজ। তবে ক্যাম্পেইন করার পিছনে সকল স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা রয়েছে। বর্তমানে আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন ইতি মধ্যে বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করছে।

আশার আলো রক্তদান ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয় সদস্যদের চাঁদা এবং শুভাকাঙ্খীদের আর্থিক অনুদানে। সংগঠনের যুগ্ম আহব্বায়ক মাহমুদুর রচি আরো বলেন একজন রক্তযোদ্ধা হিসেবে একজন রক্তযোদ্ধা হিসেবে অসহায় মানুষের সেবা করছি। আমরা চাই রক্তদানে দেশের সকল মানুষন সচেতন হয়ে উঠুক। আমরা চাইনা রক্তের অভাবে কোন রুগী মারা যাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.