উপজেলা/ জেলা শিক্ষা অফিসার রহস্যজনক নিরব,সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ
এম শাহীন আলম :
বগুড়া কাহালু উপজেলার নারহট্ট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) আবু রেজা ওরফে রিপন নেকটার (সাবেক নট্রামস) এর একটি কম্পিউটার শিক্ষা সনদ জমা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়টিতে চাকুরী করে আসছেন। তার ভগ্নীপতি (মো: জাহিদুর রহমান) তৎকালীন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দায়িত্বে থাকা কালীন তিনি এই অনিয়মমূলক কাজটি করেছিলেন।বর্তমানে তার বড় ভাই আলহাজ্ব মো: আব্দুর রাজ্জাক রতন অএ বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়াই তিনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উচ্চতর বেতনের জন্য জোড় তদবির চালাচ্ছেন। এরে মধ্যে তিনি জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর আবেদন করেছেন। সনদটি নেকটার নয় মর্মে জেলা শিক্ষা অফিসকে প্রতিবেদনও দেয় নেকটার। বিদ্যালয়টি হিন্দুধর্ম শিক্ষক বিপ্লব কুমার ঐ বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক বিমল কুমারের ছেলে হওয়ায় স্বজন প্রীতি দেখিয়ে দূর্নীতি আর অনিয়মের মাধ্যমে তাকে ভুয়া নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও চাকুরীতে যোগদানের সময় দেয়া তার কাব্যতীর্থ সনদটিও জাল বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টির অপর শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদটিও জাল হিসেবে ধরা পড়ে। বিদ্যালয়টির আয়া হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সালমা বেগম ৫ম শ্রেণীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেছেন যা জাল বলে প্রমাণিত হয়।এছাড়াও তিনি নিজের নামটিও পর্যন্ত লিখতে পারেন না। এছাড়াও নারহট্ট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার সহকারী শিক্ষক ড্রেস মেকিং ও ট্রেইলারিং) মোছা জিয়ারুন নাহার সান্তাহারের নর্দান টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউড এর ড্রেস মেকিং ও ট্রেইলারিং এর একটি সনদ দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন, যার রোল নং-১৮ এবং ব্যাচ নং-এমটি/১৮। সান্তাহারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সান্তাহারে অবস্থিত সান্তাহার টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ যার ইআইআইএন নং-১৩২৬৩৯ থাকলেও নর্দান টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউড নামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। যার ফলে তার শিক্ষা সনদটি জাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। বিশেষ সূএ মতে জানা যায়,ব্যাপক দূর্নীতি এবং অনিয়মের মাধ্যমে উচ্চতর বেতনের আবেদন ফাইলটি উপজেলা,জেলা, বিভাগীয় শিক্ষা অফিস হয়ে বর্তমানে ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে আছে,
এই সকল অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে বক্তব্যের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জয়নুল আবেদীন খাঁন ফিরোজ’কে তার মোবাইল ফোনে বার বার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করে একাধিক বার বিভিন্ন মিটিং এবং ব্যস্ততা দেখিয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে ফোন কল কেটে দেন,পুনরায় এই অনিয়মের সাথে জড়িত সহকারী শিক্ষক আবু রেজা রিপনকে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে তার ফোনে একাধিক বার কল করা হলে তিনি একবার তার এক বড় ভাইকে দিয়ে ফোন দিয়ে আবু রেজা কে কেন ফোন দিয়েছি তার কৈফিয়ত চাওয়া হয়,পুনরায় আবু রেজা রিপনকে রিপোর্ট টি লিখা অবস্থায় তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি অপরাধ বিচিত্রা’র প্রতিবেদক’কে চাঁদাবাজীর মামলা সহ দৈনিক বাংলা খবর এর সম্পদক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে ঈদের পর আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে হুমকি দিয়ে কল কেটে দেন,
উল্লেখ্য বিদ্যালয়টি -১-৬-১৯৮৫ইং সালে এমপিও ভুক্ত হয় এবং আবু রেজা ২০০২ইং সালের জুলাই মাসে এমপিওভুক্ত হন। এবং জিয়ারুন নাহার ২০০০ইং সালে এমপিও ভুক্ত হয়। অনুসন্ধান অব্যাহত আরো বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে প্রচার করা হবে,