আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ গেল খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের একটি শব্দ। মোদি সংসদে বলেছিলেন, জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) নিয়ে বিরোধীরা মিথ্যা ছড়াচ্ছেন। তার ওই বক্তব্যের মিথ্যা (ঝুট) শব্দটি অসাংবিধানিক বলে সেটি বাদ দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর গতকাল বৄহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষে (লোকসভা ও রাজ্যসভা) কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) ও এনপিআর নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, এনপিআর নিয়ে ‘মিথ্য’ প্রচার করছেন বিরোধীরা।
শব্দটি অসংসদীয় হওয়ায় অধিবেশনের কার্যবিবরণী থেকে তা বাদ দেয়া হয়েছে। আবার একই কারণে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের গুলাম নবী আজাদের বক্তব্যের একটি শব্দও বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে হিন্দিতে ‘গুমরাহ’ শব্দটি ব্যবহার করেন। যার অর্থ, ভুল পথে চালিত করা কিংবা ভুল বোঝানো।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনো অংশ সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ যাচ্ছে, দেশটির সংসদীয় ইতিহাসে এমন নজির খুব কম থাকলেই আছে। তবে এই প্রথম নয় এর এর আগে ২০১৮ সালেও কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদির দেয়া বক্তব্যের কয়েকটি শব্দ সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ পড়েছিল।
এর আগে ২০১৩ সালে কংগ্রেসদলীয় তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় দেয়া একটি বক্তব্যের কিছু শব্দ বাদ দেয়া হয় কার্যবিবরণী থেকে। তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিজেপির প্রয়াত মন্ত্রী অরুণ জেটলির বক্তব্যের কিছু শব্দও বাদ পড়ে সংসদের কার্যবিবরণী থেকে।