বিশেষ প্রতিনিধি :
চাঁদপুর বড়স্টেশনে প্রবেশ পথেই চোখে পড়ে আকর্ষনীয় ইলিশ ভাস্কর্য। প্রায় ২ শতাংশ জায়গা জুড়ে গড়া ইলিশ ভাস্কর্যটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি আজো।
এ পর্যন্ত এই ইলিশের পেছনে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কাজ সম্পূর্ণ করতে বাজেট ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। তাহলে কাজ শেষ হলে এই ইলিশের মূল্য দাঁড়াবে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
বড়স্টেশন মোলহেডের সেলফিজোনের এই ইলিশ ভাস্কর্য জেলার ব্র্যান্ডিং, পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ। যা গড়ে উঠেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং চাঁদপুর পৌরসভার সহযোগিতায়।
১২ ফুট উচ্চ গোলাকার পিলারের উপরে বসানো ১০ ফুট আকারের মা ইলিশ ভাস্কর্যের নির্মাতা শিল্পী মো. আজাদ হোসেন মজুমদার। তিনি জানিয়েছিলেন, সেলফি জোনের ইলিশ ভাস্কর্যের অবকাঠামোগত ইট সিমেন্টের কাজ শেষ। শুধু টাইলস আর রং করার কাজ বাকি।
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, এই ভাস্কর্যকে ঘিরে এর চারদিকে সেলফি জোনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আরো থাকবে নানা রকমের আলোকসজ্জা। সেই সাথে জেলার ৮ উপজেলার উল্লেখযোগ্য প্রতীকী, ঝর্ণা, ফোয়ারা, সবুজ ঘাস, ইলিশ সম্পর্কিত নানান তথ্য। আর পুরো ভাস্কর্যটির চারদিকে এসএস এর পাইপের বেষ্টনী।
ভাস্কর্যটির কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। এসএস পাইপ দিয়ে এর চারদিকে বেষ্টনী দেয়া হয়েছে। পাশে একটি লাইট স্ট্যান্ড দেয়া হয়েছে। বাকি কোন সাজসজ্জা করা হয়নি। অথচ পূর্ণাঙ্গ রূপ কবে পাবে, এই আশায় জেলাবাসী।
অনেকের মতে, ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ কথাটিকে সমগ্র বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে নির্মাণ হচ্ছে এটি। যা এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ইলিশ ভাস্কর্য। মূলত চাঁদপুরের জাটকা ধরা রোধ করতে এবং বছরে একটি মা ইলিশ প্রায় ২০ লক্ষ ডিম দিতে পারে- এমন প্রতীকী অর্থই বহন করবে এই ইলিশ ভাস্কর্য।
স্থানীয়রা জানালেন, প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক এই জেলায় আসেন। তারা সেলফি জোনে মা ইলিশ ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে নানান স্টাইলে সেলফি তোলেন।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান জানান, এই ইলিশ ভাস্কর্যের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত রং আর টাইলসের কাজ করা হবে। অন্যান্য যা পরিকল্পনা করা হয়েছে সে বিষয়ে কি করা যায় সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।