ভারতের নাগরিকত্ব আইন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে এটা প্রয়োজন ছিল না -প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়

ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না কেন ভারত সরকার এটা করলো।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে সেখানকার সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

ওই সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে শনিবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।

তিন দিনের আরব আমিরাত সফরে গিয়ে আবুধাবি সাসটেইন্যাবিলিটি উইক ও জায়েদ সাসটেইন্যাবিলিটি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি সহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৪ জানুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধন আইন। সে সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে এ আইন করা হয়েছে।

অবশ্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ এ দেশ ছেড়ে যায়নি।

ভারতের বিতর্কিত ওই আইন নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কেন এটি করা হল। এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।

নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে আসছে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরং ভারতের জনগণ নানা সমস্যার মধ্যে আছে।

বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এটাই বলে আসছে যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কিংবা নাগরিকপঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বলে আসছে।

তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবরে নয়া দিল্লি সফরের সময়ও নরেন্দ্র মোদী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

সাক্ষাৎকার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যার শুরু যেহেতু মিয়ানমারে, সেহেতু তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে।

প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ভারতে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে।  বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় বিব্রত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.