ফেনীর পৌর প্রশাসক এর যোগসাজশে প্রকৌশলী বিল্পবের নের্তৃত্বে রাস্তা সংস্কারে চলছে ব্যাপক অনিয়ম

অপরাধ

প্রশাসক অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নিয়ে নিজেদের সেইভ করতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করলেন মিথ্যা জিডি।

এম শাহীন আলম :
ফেনী পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন দায়িত্ব ভার গ্রহণ করার পর থেকেই পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পৌর প্রশাসক গোলাম মো.বাতেন কে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি এম শাহীন আলম এই প্রশাসক দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজের অনিয়মের তথ্য সহ একাধিকবার তার হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও চিত্র দিলেও প্রশাসক রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়ম বন্ধ না করে উল্টো তিনি নিজেকে এবং ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারী ও সাবেক পৌর মেয়র স্বপন মিয়াজীর আর্শিবাদ মদদ পুষ্ট প্রকৌশলী বিল্পব কুমারকে অনিয়মের অভিযোগ থেকে সেইভ করতে তিনি তথ্যদাতা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফেনী সদর থানায় জিডি করেন বলে জানা যায়।

সরেজমিন অনুসন্ধানের পর গত গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ফেনী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সহদেবপুর – বিঞ্চি সংযোগ সড়কে সরু ব্রীজ এবং রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়মের বিষয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন কে অবগত করলে তিনি তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন এবং তাকে তার হোয়াটস অ্যাপ নাম্বারে অনিয়মের ভিডিও চিত্র গুলা পাঠাতে বলেন। সাংবাদিক এম শাহীন আলম ২৫ শে নভেম্বর -২০২৪ ইং তারিখে রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়মের ভিডিও চিত্র গুলা ফেনীর বর্তমান প্রশাসক গোলাম মো.বাতেন এর মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপ পাঠান। ভিডিও গুলা পেয়ে কিছু সময় পর প্রশাসক সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,আপনি কাজের লোকশনটা বলুন আমি ভিডিও গুলা দেখে প্রয়োজনে আমি সরাসরি গিয়ে ব্যবস্হা নেবো বলে তিনি সাংবদিক শাহীনকে আশ্বস্হ করেন।

সাংবাদিক এম শাহীন আলম তথ্য দেওয়ার দুই দিন পর তার সোর্সের মাধ্যমে খবর নেন রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসক কোন ব্যবস্হা নিয়েছেন কিনা। নিন্মমানের ইট বালু গুলা সরিয়ে নিয়েছেন কিনা। কিন্তু সোর্স জানান,কোন কিছুই বদল করেননি যেভাবে আছে ঠিক সেই ভাবেই রাস্তায় ঝাড়ু দিয়ে কার্পেটিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। সোর্সের কথা শুনে ২৭ নভেম্বর -২০২৪ ইং তারিখে এই বিষয়ে পুনরায় সাংবাদিক এম শাহীন আলম ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মো.বাতেন এর সাথে মোবাইল হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়ে কোন ব্যবস্হা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে প্রশাসক বলেন, আমি আপনি দেওয়া ভিডিও চিত্র গুলা দেখে ইঞ্জিনিয়ার বিল্পব কুমারকে দিয়েছি এবং তাকে বলেছি যেন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হয়। প্রশাসকের ভাষ্য মতে ” যেন শিয়ালের কাছে মোরগ দত্তক দেওয়ার মতো অবস্হা ” প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে প্রকৌশলী বিল্পব কুমার এর সাথেও যোগাযোগ করতে বলেন এবং প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে সরাসরি ফেনীতে গিয়ে তার দেখা করতে বলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক এম শাহীন আলম প্রশাসককে জানান, আমি অনুসন্ধানী টিম সহ ফেনীতে গিয়েছি আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে, এখন আর আসতে পারবো না,সময় করে একদিন আসবো আর আমার ওখানে (সোর্স) প্রতিনিধি আছে আমি আপনাকে তথ্য দিয়েছি,আর অনিয়ম তো প্রকৌশলীর কারণেই হচ্ছে। সাংবাদিক এম শাহীন আলম প্রশাসককে বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বিল্বব কুমারের বেশিরভাগ কাজেই অনিয়ম করেছে। সেই এমপি নিজাম হাজারি এবং মেয়র স্বপন মিয়াজি যা বলেছেন বিল্পব কুমার তাই শুনে কাজে অনিয়ম করেছে। আমি আপনার কাছে কিছু তথ্য খুব শীগ্রই তথ্য আইনে চাইবো ।আপনি প্রকৌশলী কাজের মান ভালো করতে চাপ প্রয়োগ করেন তাহলে কাজ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশাসক বার বার সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে ফেনীতে এসে তার সাথে দেখা করতে বলেন এবং কাজের অনিয়মের বিষয়ে প্রকৌশলী বিল্পব কুমারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এরেই মধ্যে প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন নিজেকে সাধু সন্ন্যাসী প্রমাণ করতে ফেনীর দুইজন সাংবাদিক দিয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলমকে ফোন করান। প্রশাসক বলেন, ফেনী এতো সাংবাদিক থাকতে কেউ কোন অনিয়ম পায় না আর আপনি ঢাকা থেকে আমাদের অনিয়ম খোঁজে বেড়ান বুঝলাম না ব্যাপারটা আবারও বলেন ঠিক আছে আপনি একদিন সরাসরি ফেনীতে এসে আমার সাথে দেখা করেন। তিনি আরো বলেন,ফেনীর কয়েকজন সাংবাদিক এর সাথে তার ভালো সখ্যতা আছে। তারা আমার ব্যাপারে জানেন, তাদের কাছে আমার ব্যাপারে আগে জানেন আমি কেমন লোক এবং তারা অনেকেই আমার কাছে মাঝে মধ্যে আসেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফেনীর সিনিয়ার সাংবাদিক/সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন এর নাম উল্লেখ করেন প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। প্রশাসক গোলাম মো. বাতেনকে সাংবাদিক এম শাহীন আলম ফেনী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৬ নং ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কারের কাজেও অনিয়মের তথ্য দেন। প্রশাসক তিনি নিজেও একদিন স্বীকার করেন বিল্পব কুমার যে, কাজের তদারকিতে অনিয়ম করেন। তিনি আরো বলেন,আমিও শুনেছি বিল্পব কুমার আমি আসার আগে কাজে অনিয়ম করেছেন। তিনি বলেন, আমি একা মানুষ কয়টা কাজ সামলাবো। আমার তো বেশ কয়েকটা দায়িত্ব ভাই। গতকাল ৯ ডিসেম্বর পুনরায় ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কার চলমান কাজে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারে অনিয়মের ভিডিও চিত্র তার হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়ার পর তাকে সাংবাদিক এম শাহীন আলম লিখেন আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পৌরসভার কাজে অনিয়ম বেড়ে গেছে ইনশাআল্লাহ্ আমি আজ রাতে আপনার কাজের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিউজ লিখতে বসবো। প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর হোয়াটসঅ্যাপে সরাসরি কল দেন, সাংবাদিক শাহীন তাৎক্ষণিক প্রশাসকের কলটি রিসিভ করতে না পারায় প্রশাসক তার অফিসের মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন নামের এক লোককে দিয়ে সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরী দাখিল করেন বলে জানা যায়।

গত একমাস ধরে প্রশাসক গোলাম মো.বাতেন কে রাস্তা সংস্কারে একাধিক অনিয়মের সরেজমিন ভিডিও চিত্র সহ তথ্য দিলেও প্রশাসক প্রকৌশলী বিল্পব কুমার কিংবা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেননি এবং তিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা নিতে একজন ব্যর্থ অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনিয়মের গোডাউন প্রকৌশলী বিল্পব কুমারের সাথে যোগসাজশ করে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক এম শাহীন আলম এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফেনী সদর থানায় জিডি করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক এম শাহীন আলম। পৌর প্রশাসক ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি, মেয়র এর আর্শিবাদপুষ্ট প্রকৌশলী বিল্পব কুমারের অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নিউজ ধারাবাহিক ভাবে চলমান থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.