সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি…. মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন

অন্যান্য

প্রতিবেদন :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বানভাসিদের মধ্যে রান্নাকরা খাবার, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। অসংখ্য মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠেছে। যা সত্যি আনন্দের।

তবে নিম্নাঞ্চলের মানুষজন পাচ্ছেন না কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা। যারা ত্রাণ সহায়তা করছেন তাঁদের প্রতি সবিনয়ে অনুরোধ করছি দয়া করে শুধু হাইটেক পার্ক ও বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে ত্রাণ বিতরণ না করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে যান। আপনাদের মানবিকতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।

কোম্পানীগঞ্জের ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম অতি জলাশয়েত নিম্ন অঞ্চল গুলোতে এখনও কোনো ধরনের ত্রাণ থাক দূরের কথা দেখার জন্যেও কেউ যায় নি সেখানকার যেমন নিগারেরপাড়, মুজিব নগর, গাছগড়, চন্দ্র নগর, শিব নগর, আমেরতল সহ আশপাশের নয় দশটি গ্রাম কি বাংলাদেশের বাহিরের না-কি বলে প্রশ্ন জাগে?
কিছু কিছু মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন স্হানীয় উচুমানের জায়গা দয়ারবাজারে। সেখানে স্থানীয়রা যার যার সাধ্যমতো রান্না করে খাইয়েছেন ওইসব বানভাসিদের। তবে ওইসব এলাকায় এখনো কোনো সরকারি কিংবা বিত্তশালীদের ত্রাণ পৌঁছায়-নি।

বন্যার পানি কমতে থাকায় দয়ারবাজার সহ উৎমা মাঝেরগাও বর্ডার সাইট গুলো উঁচুমানের জায়গায় আশ্রয় আশ্রিত থেকে মানুষজন তাঁদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে তাঁরা রয়েছেন ব্যাপক দুঃশ্চিন্তায়। ঘরে ফিরে কি খাবেন ? কেউ কি আসবেন তাদের জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ? কেউ কি নিবেন তাদের খবর ? এমন প্রশ্ন তাঁদের মনের মধ্যে বিরাজ করছে। যেন হতাশায় ভুগছেন তাঁরা।

পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের একাদিক বিশস্ত সূত্রে জানায় ওই ইউনিয়নের নিগারেরপাড়, চন্দ্র নগর, মুজিব নগর, আমেরতল,শিবনগর, গাছগড়, ও রাধানগর সহ আশপাশের নয়-দশটি গ্রামে এখনো কোনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছা দূরে থাক কেউ একটি নজর দেখতেই আসেনি। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিত্তশালীদের কাছে আবারও সবিনয়ে অনুরোধ করছি, আপনারা ওইসব এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিন। সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতায় অনাহারে থাকা ওইসব বানভাসি মানুষজনদের মুখে হাসি ফুটে ওঠবে।

বেঁচে আছে মানবতা। বেঁচে থাকবে মানবতা। মঙ্গল কামনা করি মানবতাবাদীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.