অবিলম্বে বন্যা দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান: স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার প্রধানকে অনুরোধ জানান চৌধুরী জীবন

অন্যান্য

বিশেষ প্রতিবেদন :
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ভারী বর্ষন ও উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে এই বছরে তৃতীয়বারের মত তলিয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ী-ঘর, আবাদী জমির ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গবাদীপশু ও জীবিকার সকল মাধ্যম। কুড়িগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা ইতিমধ্যেই তলিয়ে গেছে।

গত তিন দিনে বাংলাদেশের উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ওই বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সব কটি জেলায় প্রবেশ করেছে, যা চলবে আরো কয়েকদিন। ভারতের চেরাপুঞ্জি বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা; গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা জুন মাসে ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত তিন দিনে সেখানে প্রায় আড়াই হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটিও গত ২৭ বছরের মধ্যে তিন দিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি পানি চলে আসায় বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় পৌনে তিন লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সিলেটের সাথে সুনামগঞ্জের সকল যোগাযোগ।

এমনকি তিনি তার বাস্তবতার মুখোমুখিতে দাঁড়িয়ে সেই অভিজ্ঞতা থেকে মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন দুঃখ কষ্ট নিয়ে বলেন যে আমার সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে নিম্ন অঞ্চল গুলোতে আশ্রয় প্রশ্রয়ে কেন্দ্র নেই ও আমার বাড়ি একদমই নিম্ন এলাকায় থাকায় আমার সহ আমাদের এলাকার আট দশটি গ্রামের মানুষের জীবন সংকটময়ে মৃত্যু মুখোমুখি ছিল, এবং আমার নিজের বাড়িতে ১৯৮৮ সালেও পানি তলাতে পারেনি কিন্তুু দুঃখজনক কষ্ট হচ্ছে এবারের রাক্ষসী বন্যা শুধুই বাড়ি তলিয়ে দেয়নি ঘরের মধ্যে বুক পানি তলিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার গবাদিপশু ১২টি গরু ৬ টি ছাগল সহ মোরগদের মধ্যে প্রায় ৩৭টি মতো সেদিন রাতে যেদিন গভীর রাতে রাক্ষসী বন্যা নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করে সেই সময়ে একটি ষাঁড়ের মৃত্যু হয়। তো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহ আসবাবপত্র তলিয়ে যায় এবং আমার গোলাঘরে ১৬৫ মন ধান সহ ৭৪ মন সরিষা পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে তা আর কখনোই নিত্যদিনে কাজে আসবেনা, কোনো ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে কোনোমতে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে দের নিয়ে পরনের কাপড় ছাড়া সব রেখেই জীবন রক্ষার্থে ফজরের সময় ঘরের ছালের উপর আশ্রয়ে আশ্রিত হয়ে দুপুর এগারো বারোটার সময়ে সর্বোচ্চ চৌওরা দামে একটি নৌকা সংগ্রহ করে একটুখানি বাঁচার আকুতি আর্তচিৎকারে কাঁপুনির মাধ্যমে বর্ডারের পাশাপাশি গিয়ে আশ্রিত হয়েছে।
তিনি বলেন তো এখানেই অতি দুঃখ কষ্টের বিষয় যে আমার সেই অতি নিম্ন অঞ্চলের আশপাশের মানুষদের কি পরিস্থিতিতে ছিল বা মোকাবেলা করেছে যা মুখে বলার ভাষা নেই তো বাস্তবতা মুখোমুখি যারা রয়েছে তারাই জানে।

এসব বিষয়ে এক বিবৃতিতে চৌধুরী জীবন বলেন, বন্যা দূর্গত অঞ্চলগুলোতে জরুরী অবস্থা ঘোষনার দাবী জানিয়েছেন। পাশাপাশি সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে শুকনো ও রান্না করা খাবার সরবরাহ, ভাসমান তাঁবু ও টয়লেট প্রস্তুত করার জোর দাবী জানিয়েছেন, বিশেষ করে যারা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেনি।

বিবৃতিতে জনাব চৌধুরী আরো বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানবার পরেও সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্বিকার আচরণ আর কোন রকমের তরিৎ প্রস্তুতি না নেয়া খুবই দুঃখজনক এবং নাগরিকদের প্রতি চরম অবহেলার শামিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.