আগামীকাল ২৭ জানুয়ারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আসছেন রাষ্ট্রপতি

জাতীয়

হালিম সৈকত, কুমিল্লা থেকে :
অবশেষে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান  করতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রথম সমাবর্তন। সমাবর্তন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন কুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী।

উপাচায বলেন, সমাবর্তন ও মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে বরণ উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে লালমাটির ক্যাম্পাস খ্যাত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। তিনি জানান, সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এডভোকেট। সে দিন তিনি ১৪জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেবেন চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক।

উপাচার্য বলেন, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর ২৭ জানুয়ারি রোববার প্রথম সমাবর্তন পেতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আনন্দ বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত বর্তমান শিক্ষার্থীরাও।

 কুমিল্লার কৃতি সন্তান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমাবর্তনে বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন এবং অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী এমপি প্রমুখ।

উপাচার্য জানান, সমাবর্তনকে সফল করতে কোন কিছুতেই কমতি রাখছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যারা। যেখানে অংশ নিতে যাচ্ছে ২ হাজার ৮শ’ ৮৭ জন গ্র্যাজুয়েট। এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী ১ হাজার ২শ’ ২২ জন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ১ হাজার ৬শ’ ৬৫ জন। অনুষ্ঠানকে আরও সুন্দর করতে সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটসহ সবার সহযোগিতার আহ্বায়ন জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।

একজন উপাচার্য হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন নিয়ে অনূভূতির কথা জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, সমাবর্তন আয়োজনে প্রতিটি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পন্থায় এগিয়ে চলছে। সুন্দর ও সফলভাবে কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য। সর্বোপরি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো আসছেন। আমাদের প্রত্যাশা সমাবর্তন অত্যন্ত আনন্দঘন ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে।

প্রথম সমাবর্তন হচ্ছে সঙ্গত কারণেই ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এর আশপাশের জেলার প্রতিবেশী  তারাও থাকবেন।  উৎসবমুখর একটা অনুষ্ঠান দেখতে চাই। এখানে নিয়মিত প্রায় ২৬ টি টিম কাজ করছে গত দুমাস ধরে এবং তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আশা করি এটা সফল ভাবে শেষ করতে পারবো। এই মিলন মেলাটা বহুদিন যেন মানুষ মনে রাখে কোন ব্যাপারে আমরা কোন কম্প্রোমাইজ করছি না। আপনারা দেখছেন এখানে ট্রেন যেটা হচ্ছে সেটাও বাংলাদেশের সেরা। এমনকি বিছানো কার্পেট পরিষ্কার করা, প্রকাশনা পর্যন্ত সবগুলো তো আমরা বেস্ট কোয়ালিটির করার চেষ্টা করেছি। ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লার গৌরব যেন আরো প্রস্ফুটিত হয় এই জন্য আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, সমাবর্তন কঠিন একটা কাজ বলে আমি মনে করি। কাজেই অনেকদিন আগে থেকেই যদি প্রস্তুতি না থাকে তাহলে ভালোভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ইনফ্যাক্ট আমরা প্রায় গত দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। আপনারা দেখছেন অবকাঠামোগত পরিবর্তন এসেছে। সুতরাং অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। আগামী দিনের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আয়োজকদের জন্য আপনার পরামর্শ কি এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সমাবর্তন হয়নি কিংবা যারা ভবিষ্যতে আসবেন তাদের অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে কাজটি করতে হবে। অলমোস্ট ভেরি ডিফিকাল্ট বাট, সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা অতি সহজ।

অনুষ্ঠানে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসবেন এবং উনি চ্যান্সেলর। সে জন্য তাকে ঘিরে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রোটোকলের একটা বিশাল ব্যবস্থা থাকছেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.