ডেস্ক রিপোর্ট :
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেয়ার কথা ভাবছেন আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারকরা, কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয় এবং সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। কিন্তু সংসদে আইন পাস করা প্রয়োজন যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সরকারী কোন নির্দেশনা নেই। আগামী জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখে সংসদ বসবে, মার্চ মাসে ইউপি নির্বাচন তাই সংসদে বিল পাস করে প্রঙ্গাপন জারী করা হবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
আওয়ামীলীগ সরকার তৃণমূলে আর দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করতে রাজি নয়। কারন দলীয় নমিনেশন দিলে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী সমস্যা করে, নৌকা প্রতীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে,অধিকাংশ জন-প্রতিনিধি দলের প্রচার,প্রসারে কোন রকম ভূমিকা রাখেনি,দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিড, ভাইলীগদের সঙ্গে নিয়ে নিজের বহর বাড়িয়েছে। গোটা দেশের তৃনমূল নির্যাতিত,ত্যাগী আওয়ামী কর্মীরা এমন দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। বিগত ৫ বছর দলের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারে না থাকলেও, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বেতন ভুক্ত দু-একজন লোক দিয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা যাচ্ছে। এসব জন-প্রতিনিধিদের জন্য তৃনমূল সাংগাঠনিক অবস্থা ভেঙ্গে পরার উপক্রম দেখা দিয়েছে,তাই সামাল দিতে সরকার কঠিন সমস্যায় পরার উপক্রম দেখা দিয়েছে।এই কারনে এবার দলীয় প্রতীক আর না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার।
অন্য দিকে ইউপি নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে কথা রটানো হচ্ছে তা গুজব বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বলেছেন। কারন সরকার এই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেন নাই।
মূল কথা তৃণমুল থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। দলীয় প্রার্থী আর দেয়া হবেনা বলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবং আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা ঐক্য মত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজকের বৈঠকে।