
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বুড়িচংয়ের মোকাম ইউপির আবিদপুর গাউছুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) আলিম মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি পদে এড. রবিউল এর জনপ্রিয়তা ও গ্রহনযোগ্যতায় ঈর্ষান্নিত কতিপয় কুচক্রী মহল। মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সমর্থনে শীর্ষে থাকা ঢাকা জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. রবিউল এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তি বা মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নতুন এডহক কমিটি গঠনে সভাপতি পদে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও ভোটে এগিয়ে থাকায় কতিপয় ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সম্মানহানীর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন এ্যডভোকেট রবিউল।
বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজধানী ঢাকা ও কুমিল্লায় সরাসরি যুক্ত থেকে জুলাই বিপ্লবের একাধিক মিছিল মিটিংয়ের অগ্রভাগে থাকা ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রবিউল আবিদপুর তথা মোকাম ইউনিয়নের তরুণদের কাছে জনপ্রিয় একটি মুখ। তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য সহ এলাকাবাসী। মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ও কাঠামোগত মানোন্নয়নে এ্যাডভোকেট রবিউল এর মত যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকেই সভাপতি পদে দেখতে চায় বলে জানান, মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।
এড. রবিউল জানান, আওয়ামী শাসনামলে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরোধীতার কারনে তৎকালীন সরকারের গায়েবি বিস্ফোরক ও নাশকতা চেষ্টার একাধিক মিথ্যা মামলায় (বুড়িচং থানার জিআর মামলা নং ৩৪৯/১৯ ও ৩৫০/১৯) আসামীও করা হয় তাকে। অথচ কতিপয় ব্যক্তি নিজের হীন উদ্দেশ্য সফল করতে বানোয়াট রাজনৈতিক রং মাখিয়ে বিতর্কিত করতে মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্যে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। তিনি বলেন, গ্রহনযোগ্যতা না থাকায় স্বার্থ হাসিলের জন্য এটি অপচেষ্টা ও হীন বিকৃত মানুষিকতার পরিচয়ও বটে।
বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারনে বিগত সময়ে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের মিথ্যা মামলা হামলা সহ নানা ভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এডভোকেট রবিউল। সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসার নতুন কমিটি গঠন ও সভাপতি পদকে কেন্দ্র করে একটি কুচক্রী মহলের বিতর্কিত ভুমিকায় এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন৷ গত কিছুদিন আগে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের ২৭ জনের মধ্যে মৌখিক ও গোপন ভোটে ১৮জনই এড. রবিউল কে তাদের সমর্থন জানান। এরপর থেকেই জনৈক ব্যক্তি তাকে বিতর্কিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এবিষয়ে আবিদপুর গাউছুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) আলিম মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য নেয়ামতউল্লাহ বলেন , আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে এড. রবিউল কে সভাপতি পদে সমর্থন জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ও চক্রান্ত করছে যে বা যারা, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সবসময় স্বাচ্ছন্দের সহিত পাশে ছিলেন এড. রবিউল সাহেব। তিনি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হলে এটি আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। শিক্ষার গুনগত মান, পরিবপশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এড. রবিউল সাহেব যোগ্য বিবেচনা করেই সকলে মৌখিক ও ভোটের মাধ্যমে তাকে সমর্থন জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য মোকাম ইউনিয়ন যুবদল নেতা আবু ইউসুফ বলেন, ব্যক্তি হিসেবে এড. রবিউল একজন ভালে মানুষ। তাছাড়া মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য, দক্ষ ও সুশিক্ষিত তিনি। তাকে মাদ্রাসা সভাপতি হিসেবে পেলে মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে বলেই মনে করি। বিগত দিনে মাদ্রাসা বিভিন্ন কর্মকান্ডে তিনি সবসময় পাশে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই।