মা আ চৌধুরী জীবন :
বল বীর উন্নত ম-ম শির সেই কবির বজ্রকণ্ঠ এদেশে এখন নেই।
আজ চারিদিকে সততার মানুষগুলো অসৎদের চাপায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সমাজের একজন পবিত্র কবিকে খুঁজে ছিলাম তবে আমি তরুণ আজও পাইনি!
হ্যাঁ ওইতো গত কয়েকমাস আগে ঘোমটা ঘর থেকে খুঁজে পেয়েছিলাম পরীমনিদের নিয়ে লেখা কবিদের।
তবে পাইনি শরীফদের নিয়ে আশার বাণী শুনাতে কোন কবিদের!
কিভাবে বেঁচে থাকব মাগো তোমার এই দেশে?
মানুষতো এখন অমানুষ!
যদি প্রতিবাদী হই তাহলে এককদম যেতে পারি, যদি এই সমাজে এখন অসৎ হই হাজার কদম তেলের মতো যেতে দর্শন:পারব।
আমাদের দেশে সেই ছেলেটি কবে হবে? কথায় নয়, কাজে বড় হবে? এসকল কবিতা সমাজের একশ্রেণির মানুষের কাছে হাস্যকর!
এসকল শব্দ এখন যে বলে বেড়ায় সেতো বড় ডাকাত!
দেশের জনগণের বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন। দেশবাসী যখন শুনে দুদকের অভিযান হচ্ছে নিশ্চয়ই সে বাণীতে বুকটা হেঁসে উঠে!
যখন আবার শুনে সেই সততার নদকে ব্যবহার করে আমলা, তখনি হৃদয়টা খন্ডে পরিনত হয়।
মনে জাগে দুদকের প্রতি অন্ধবিশ্বাস করেছিলো শরীফ ছেলেটার চাকরি চলে গেল, প্রাননাশের হুমকি হলো!
পেল না অনিয়মের অভিযোগ, ছেঁড়া খাতার মরিচা ধরার গল্প শুনালেন দুদক সচিব।
তাঁহার কথা শুনে হেঁসে উঠলো এ জাতি!
নিষিদ্ধ ৫৪ ধারায় চাকরি গেল ওই সততার বীর ছেলেটির!
দুদক যখন কারো ফোন কলে বা পত্রে নিরব হয়ে যায় তখন এই দুদকের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা বিশ্বাস থাকে না।
দুদক মানেই তো দুর্নীতি দমন কমিশন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুর্নীতিকারীকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দুদকের রয়েছে।
আর সেই দুদককে যখন “আরাদক” আমলা-রাজনৈতিক ব্যক্তি দমন করে!
যাকে দিয়ে ভূত ছাড়াবেন তাকেই তো ধরছে ভূতে, তবে সে ভূত ছাড়াবে কে ?
বিড়ালের কাছে দুধ পাহাড়া দিলে নিশ্চয়ই বিড়াল চুমুক দিবে।
যখন একজন সৎ অফিসারকে চাকরিচ্যুত করা হয় তখন আর আমাদের সাধারণ মানুষ দুদকের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারে না।
মনে হয় শরীফ উদ্দিন ঘটনায় জড়িত আমলা’রা হয়তো রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর কারো স্বজন হতে পারে।
কারণ পতিতার কাছেই সততা হেরে যায়।
এতো উচ্চ শিক্ষার এই দেশে দরকার কি ?
মানুষ হতে যদি নাই-বা পারি!
মেয়র-এমপি, দুদক, বিচারক, মন্ত্রী, ডিসি-এসপি নামের সামনে যুক্ত থাকলেই কি আমরা প্রকৃত মানুষ ?
যদি মানুষ হই তাহলে এই সমাজের শরীফ উদ্দিন কেন চাকরিচ্যুত হবে ?
সৎ মানুষগুলো মারা গেলে আমাদের সন্তান গুলো কার কাছে নিরাপদ ?
আগামির তরুণ প্রজন্মকে আমরা কি শিখতে উদ্বুদ্ধ করছি ?
১০০ চোরের কাছে ১ সততার কবিকে নিয়ে ১৭ কোটি মানুষ নিরব পালন করছেন।
তেমন কাউকে রাষ্ট্রভাষা ও স্বাধীনতার যুদ্ধের মতো প্রতিবাদ করতে দেখছিনা।
যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাবার মতো প্রতিবাদী কণ্ঠে চাকরিচ্যুত শরীফ উদ্দিনকে ডেকে মায়ের মতো ” যা বাবা তোর কর্মে-জীবন যুদ্ধে অপশক্তির কাছে নাহি করবি মাথা নত”।
যে দেশে চোর বেশি সেই দেশে নীতি নৈতিকতার কথা বলা বা শিক্ষা দেওয়া হাস্যকর।
আর এই নীতি নৈতিকতা শব্দগুলো চোরগুলো ব্যবহার করে সমাজের মানুষের কাছে রাতের পরী সেজে থাকে।
চোরের শক্তি বেশি, না ঈমানদারের শক্তি বেশি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আমি যা ভিক্ষা করে আনি সব চাটার গোষ্ঠী খেয়ে ফেলে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সবাই পেয়েছে সোনারখনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজকে এ দেশে বড় প্রয়োজন ছিল আপনার মত একজন শেখ মজিবুর রহমান।
লেখকঃ মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,
ক্রাইম নিউজ বিডি টুয়েন্টিফোর ডটকম।