আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসা দখল করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী মনিকা হাসান

রাজনীতি

মানসুরা আক্তার কাকলী :
আশুলিয়ায় ডিস ব্যবসা দখল করতে গিয়ে
স্থানীয়দের হাতে গণপিটুনির শিকার
হয়েছেন বহিস্কৃত যুবলীগ নেত্রী মনিকা
হাসান নামের এক নারী। তাকে উদ্ধার
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার
দুপুরে আশুলিয়ার দক্ষিণ বাইপাইল চাড়াল
পাড়া এলাকার স্থানীয় সড়কে এ ঘটনা
ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকাশ দোকানী
জয়, মোস্তফা (৪৫), আমির হোসেন (৩৫)
সহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আশুলিয়ার
গাজীরচট চাড়াল পাড়া এলাকায় ডিস
ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী
সোহাগের সাথে তার দীর্ঘ দিন যাবৎ
বিরোধ চলে আসছিল। ডিস ব্যবসা দখলের
জন্য যুবলীগ নেত্রী ওই এলাকায় গিয়ে
বিভিন্ন সময়ে গ্রাহকের সংযোগ কেটে
দেয়। এরই সুত্র ধরে শনিবার দুপুরে যুব
মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী আবারো
ডিস ব্যবসা দখলের জন্য গ্রাহকের
সংযোগ কাটতে থাকলে স্থানীয়দের
সাথে তার বাকবিতন্ডতা শুরু হয়। এক
পর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ওই
নেত্রীকে এলোপাথারী গণপিটুনি দেয়।
পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার
করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ
অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ডিস ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন,
তিনি প্রায় দীর্ঘ আট বছর যাবৎ এই
এলাকায় ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে
আসছেন। তবে মনিকা হাসান যুব মহিলা
লীগ নেত্রী হওয়ার সুবাধে গত ছয় মাস
যাবৎ তার ডিস ব্যবসা দখলের চেষ্টা
করে আসছিল। ওই নেত্রী বিভিন্ন সময়
গ্রাহকদের সংযোগ কেটে দিয়ে
তাদেরকে ভয়ভিতী দেখিয়ে আসছে।
আজকেও সংযোগ কেটে দিতে গেলে
স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাকে মারধর করে
বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে যুব
মহিলা লীগের বহিস্কৃত সাবেক আশুলিয়া
থানার যুগ্ন আহ্বায়ক মনিকা হাসানের
সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া
যায়নি।
মনিকা হাসান নামে ওই নারী আশুলিয়া
থানা যুব মহিলা লীগের সাবেক বহিষ্কৃত
যুগ্ম আহ্বায়ক। ওই নারী ও তার পরিবারের
সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর
সহ আশুলিয়া থানায় একাধিক মাদক
সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তবে
সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান
শাহাদাত হোসেন খান বলেন, তিনি
ঘটনাটি শুনেছে। ডিস ব্যবসা দখলকে
কেন্দ্র করে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর উপর
হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ
করেন তিনি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ডিস
ব্যবসাকে কেন্দ্র স্থানীয়রা মহিলা লীগ
নেতৃর উপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায়
তিন জনকে আটক করা হয়েছে বলেও
তিনি জানান। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ডিস
ব্যবসা নিয়ে স্থানীয় সোহাগের সাথে
মহিলা লীগ নেতৃর বিরুদ্ধ চলে আসছিল।
তিনি দু পক্ষকে ডেকে এ ঘটনায় একটি
সমাধানও করে দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ
করেই আজকে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি
জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.