মনির হোসেন :
শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন। এসময় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন মুসা বলেন, গত ০২ জুন আশুলিয়ার ইয়ারপুরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাহিত্য সম্পাদক পারভেজ কাজীকে নিজ বাসায় ফেরার পথে অতর্কিত হামলা করে কালাম নামের আরেক যুবলীগ নেতা। এক পর্যায়ে পারভেজের হাতে দা দিয়ে কুপিয়ে ও মারধর করে অপরপক্ষ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা সেদিন রাতেই আশুলিয়া থানায় গেলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। তবে পরের দিন সকালে স্থানীয় আরেক যুবলীগ নেতার ইন্ধনে আশুলিয়া থানায় গিয়ে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন মুসাকে প্রধান বিবাদী করে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা কামাল কাজী। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা মুসা আরও বলেন, অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার সময় রাত ১২টা তখন এলাকাতেই ছিলাম না। নারায়নগঞ্জ থেকে সেদিন রাত ২টার দিকে আমি বাড়িতে ফিরেছি। পারভেজ ও কালামের এই ঘটনায় কেন আমাকে জড়ানো হল বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। এঘটনায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কয়েকটি গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে করা সংবাদ পরিবেশন অত্যন্ত দুঃখজনক। দীর্ঘদিন তিনি আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ার পর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তিনি। এমন সময় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে মারধরের শিকার ভুক্তভোগী পারভেজের সাথে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি প্রতিবেদককে এড়িয়ে যান। অপরদিকে অভিযোগের বাদী তার বাবা কামাল কাজী বলেন, “আমি অশিক্ষিত মানুষ, অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানিনা। যুবলীগের একজন কাগজ লিখে আমাকে দিলে সেখানে আমি শুধু স্বাক্ষর করেছি। কার কার নাম সেখানে ছিল তাও জানিনা। তবে আমি জানি কালামসহ তার স্ত্রী ও মা আমার ছেলের উপর হামলা করে। সেখানে মুসা ছিলনা, কি কারনে তাকে অভিযুক্ত করা হলো মামলার বাদী যানেননা বলে জানায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একটি গ্রুপ এধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে বলে প্রমান হয়।
![](https://doinikbanglakhobor.net/wp-content/uploads/2021/06/received_1374054189622839.jpeg)