টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফের সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলী এলাকার পূর্ব শত্রুতার জেরে ইয়াবা ও মানবপাচারে বাধা দেওয়ার কারণে এক বৃদ্ধ পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে বরইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
থানায় দেওয়া অভিযোগ ও সাংবাদিকদেকে দেওয়া ভিডিও বার্তার সুত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের, ইয়াবা মানব ও পাচারের কাজে বাধা দেওয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মিথ্যা মিলে নাইট্যং পাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে নাইট্যং পাড়া ও বড়ইতলী এলাকা দিয়ে প্রতিদিন মানবপাচার ও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা অনুপ্রবেশ করে আসছিল এদিকে নাইট্যং পাড়া এলাকার বড়ইতলী বসবাসরত ছৈয়দ মাস্টারের ছেলে আনোয়ার বাধা প্রদান করিলে তাদের উপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মোঃ ইউনুছের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, নাইট্যং পাড়া এলাকার শীর্ষ ইয়াবা কারবারি সন্ত্রাসী বর্তমান কাউন্সিলর দিল মোহাম্মদ দিলুর আপন ভাগিনা আব্দুল জব্বারের পুত্র আলমগীর (প্রকাশ) জাবের, রোহিঙ্গা মুক্তার, আক্তার সহ আরো ৫/৬ জন মিলে জাবের’র নেতৃত্ব এক অসহায় বৃদ্ধ পরিবারের উপর হামলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় গুরুত্বর আহত হন বৃদ্ধ মহিলা সহ একই পরিবারের -৪ জন।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, এবিষয়ে গুরুত্বর আহত মৃত আব্দুল কাদেরর পুত্র সৈয়দুল ইসলাম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ৬জন সহ অজ্ঞাগতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, টেকনাফ পৌর এলাকার জাবের এর নেতৃত্বে সদরের বরইতলী এলাকায় রোহিঙ্গা ইয়াবা ও মানব পাচারকারীদের নিয়ে এলাকায় বিরাজ সৃষ্টি করে। তবে স্থানীয় সৈয়দুল ইসলাম ও তার ছেলেরা এই অপকর্মেকে বাঁধা প্রদান করলে, তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মহিলা সহ একই পরিবারের ৪ -জন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে সৈয়দুল ইসলামের পরিবার প্রাণনাসের হুমকিতে ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। জবাবে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে এখানো হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এবিষয়ে আহত পরিবারটি স্থানীয় কাউন্সিল দিল মোহাম্মদ দিলু কে অবগত করিলে তিনি জানান, জাবের আমার কথা মানে না আপনারা আইনের আশ্রয় নেয়,আমার করার কিছুই নেয়।
বর্তমানের পরিবারটি কঠোর নিরাপত্তা হীনতার ভুগছে বলে জানিয়ে আরো বলেন, যে কোন মুহূর্তে জাবেরসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করতে পারে। আমরা এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।