এম শাহীন আলম :
কুমিল্লা জেলার প্রতিটি উপজেলায় মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রাণহানি অর্থ সংকটে অভাব ও চরম দুঃসময়েও জোরপূর্বক ঋণের কিস্তি আদায় করছে বিভিন্ন এনজিও এবং সমিতির কর্মিরা, এই মুহূর্তে ঋণের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মামলার হুমকি দমকি সহ এনজিও এবং সমিতির কর্মীদের অকথ্য খারাপ আচরণ শোনতে হচ্ছে সাধারণ স্বল্প আয়ের গ্রাহকদের, সরেজমিনে জানা যায় এনজিও ঋণ আদায়কারীদের ভয়ে অনেকেই দিনে বাড়ীর বাহিরে থাকলেও এনজিও কর্মীরা রাতে এসে গ্রাহকদের বাড়ীতে হানা দিচ্ছে, অন্যদিকে সরকার ঘোষিত একের পর এক (করোনা) লগডাউন মানতে গিয়ে রোজগার না থাকায়(ঋণ গ্রহীতাদের) খেটে খাওয়া মানুষেরা পরছে বিপাকে,
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছোট খাটো দোকানী ও ব্যসায়ীরা বিভিন্ন এনজিও এবং সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করেন, প্রতিদিন,সাপ্তাহিক,মাসিক,হিসেবে এনজিও এবং সমিতি গুলোকে ঋণের কিস্তি দিতে হয়,বর্তমানে সারাদেশর ন্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লগডাউনে বেশিরভাগ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ এক প্রকার গৃহ বন্দির মতো অবস্থায় রয়েছে, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ মানে আয় রোজগার বন্ধ,এই দুঃসময়েও এনজিও এবং সমিতির কর্মীরা ঋণের টাকা আদায়ের কারনে ঋণ গ্রহীতারা নাজেহাল হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে,রোজগার না থাকায় ঋণের কিস্তি দেওয়ার ভয়ে কেউ কেউ একা ছেড়েছে বলে জানা যায়,দিনে যারা কিস্তি আদায় করতে অপারগতা দেখাচ্ছে এনজিও কর্মীরা রাতে গ্রাহকদের বাড়ীতে বাড়ীতে হানা দিচ্ছে এবং অশুভ আচরন সহ দ্রুত টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দমকি সহ চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকেই,অনুসন্ধানে আরো জানা যায় করোনায় বিগত দিনের লগডাউন গুলোতে অনেক গ্রাহক ঋণের কিস্তি না দিতে পারায় বর্তমানে তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে চড়া সুদের জরিমানা,বিভিন্ন এনজিও সমিতির কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা গণ-মাধ্যমকে জানায় আমরা প্রতিষ্ঠানের চাকুরী করি তাই প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের বাহিরে তো কিছু করার নেই,আমাদের প্রতিষ্ঠান যে নির্দেশ দিচ্ছে তা আমরা মানতে বাধ্য,না হয় আমাদের চাকুরী থাকবেনা,বর্তমান বাজারে একের পর এক পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের রোজগার না থাকায় খেয়ে বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পরেছে,এমতাবস্থায় ঋণের কিস্তির চাপে ঋণ গ্রহীতারা দিশেহারা,অন্তত করোনা কালীন লগডাউন সময়ে এনজিও সমিতির ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সাধারণ মানুষ,