কুমিল্লার চৌয়ারা বাজারে চা-সিগারেটের বিল চাওয়াতে দোকানির গায়ে গরম পানি

অপরাধ

কুমিল্লা প্রতিনিধি :
আগের পাওনা পরিশোধ না করেই চাওয়া হয়েছিল চা-সিগারেট। তা-ও বাকিতে। না দেওয়ায় দোকানদারের মাথা ও শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে এক বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের পশ্চিম এলাকায়।

এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর পেট, হাত ও শরীরের বেশির ভাগ অংশ ঝলসে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত বখাটেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

আহত দোকানদার হলেন- কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা এলাকার ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল কুদ্দুস (৪৫)। তিনি চৌয়ারা বাজারে একটি ভাসমান দোকানে চা-সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

আহত দোকানদারের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ফরিদ মিয়ার বখাটে ছেলে মো. আদিল (৩০) দোকান থেকে প্রায়ই বাকিতে চা-সিগারেট নিতেন। দোকানে ২ হাজার টাকা বাকি রেখেছেন আদিল। পাওনা টাকা চাইলেই চা দোকানদার আবদুল কুদ্দুসকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতেন ফরিদ।

গত শনিবার আদিল দোকানে এসে আবার বাকিতে ১টি সিগারেট ও এক কাপ চা চান। এ সময় বাকিতে সিগারেট দিতে অস্বীকার করায় আদিল ক্ষুব্ধ হয়ে চা দোকানদার আবদুল কুদ্দুসকে গালাগাল দেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে দোকান থেকে চায়ের গরম কেটলি নিয়ে আবদুল কুদ্দুসের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেন বখাটে আদিল। এ সময় দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান আদিল। এ সময় আবদুল কুদ্দুসের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করেন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী রুনা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

রুনা আক্তার বলেন, বখাটে আদিল আগের টাকা পরিশোধ না করে ফের ১টি সিগারেট ও চা বাকি চান। তার স্বামী সিগারেট বাকিতে না দেওয়ায় আদিল চায়ের গরম পানি তার গায়ে ঢেলে দেন। এতে তার হাত, পেট ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। ঘটনার পর থেকে বখাটে আদিল পালাতক।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনার পর থানায় তার স্ত্রী আসার ১০ মিনিটর মধ্যে মামলা হয় এবং সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল ও বাড়িতে গিয়ে তাকে পায়নি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.