বিশেষ প্রতিনিধি :
কুমিল্লার তিতাসে জগতপুর ইউনিয়নের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে চলাচলের জন্য অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণে ফসলী জমিতে বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা বিরাজ করে আসছে। উক্ত জলাবদ্ধতার কারণে কৃষক শুষ্ক মৌসুমে বিভিন্ন কৃষি ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই উক্ত ইউনিয়নের চারটি বিলকে জলাশয় হিসাবে ঘোষণা করে তাতে মৎস্য চাষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী তুলেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কানাইনগরের আজিম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সমাজ বিশ্লেষক ও রাজনীবিদ আবদুল মতিন মাস্টার।
আবদুল মতিন মাস্টার জানান, উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রাম সংলগ্ন আন্দার পানির বিল, চাপিলা ধরা বিল, সাগরফেনার বিল ও জগতপুরে মানিক চিপার বিলগুলো কালক্রমে বিলিন হতে চলেছে। বর্ষা মৌসুমে বিলগুলো পানিতে দৃশ্যমান হলেও শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৪শ একর জমিতে এলাকার মানুষ কৃষি ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত বিশ বছর যাবৎ অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণ করায়, বিশেষ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে কালভার্ট বা ব্রিজ না করায় উক্ত জমিগুলোতে শুষ্ক মৌসুমেও জলাবদ্ধতাসহ কচুরিপানায় ভরে থাকে। ফলে ইউনিয়নের প্রায় ৫-৬টি গ্রামের মানুষ ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি প্রস্তাব রেখে বলেন, উক্ত চারটি বিলকে জলাশয় ঘোষণা করে সরকারিভাবে কচুরীপানা ধ্বংস করে মাছ চাষের উপযোগী করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালপুরুষ পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাষ্টার,
জগতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন, জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আক্তারুল হক, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিন, কানাইনগর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কৃষকদের মধ্যে মো. আলমাস মিয়া, মো. ফারুক আহমেদ, মো. মোমেন মিয়া, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।