কুমিল্লার তিতাসে মা বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ: ধর্ষক পলাতক

অপরাধ

হালিম সৈকত
তিতাস, কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর রায়পুর গ্রামের অসহায় দিন মজুর মানজুর হোতেন এর মেয়ে ইতি আক্তার ধর্ষণের শিকার হয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের বাচ্চা পেটে নিয়ে অসহায়ের মতো বিচারের জন্য রতীমহারতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ভিকটিম ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, রায়পুর গ্রামের আঃ হকের ছেলে হাসান মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বার বার ধর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি হাসানকে জানালে সে বলে কোন সমস্যা নেই ঔষধ এনে দিব। পরে মেয়েটির বাবা মা মেয়েটির বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক করে, হাসানকে জানালে হাসান তা কর্ণপাত করেনি। মেয়েটির বিয়েও হয়ে যায় মজিদপুর ইউপির সাবৃদ্দি গ্রামে। ওখানে ইতি অসুস্থ হলে তার স্বামী তাকে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চেকআপ করার পর জানতে পারে সে সাড়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি ইতির স্বামী কোন ভাবেই মেনে নিতে না পেরে মেয়েটি তালাক দিয়ে দেয়। এখন হাসান বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও এখন সমাধানের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে। মেয়েটির পরিবার আদালতে মামলা করেছে।

এই বিষয়ে হাসানের মা বলেন, আমার ছেলে এমনটি করতে পারে না। মেয়েটির সাথে যদি এমনটি হয়েই থাকে তাহলে কেন আমাদের আগে বলল না?
আমার ছেলে বিয়ে করেছে তিন মাস হলো। তখন কেন বলে নি। না হয় ওই মেয়েটিকেই আমরা হাসানোর সাথে বিয়ে দিতাম। তাহলে তো এতো কলংক হতো না। এখন আরেকটি মেয়ের জীবন নষ্ট।

এই বিষয়টি নিয়ে এখন স্থানীয় দুটি পক্ষ কাজ করছে বলে জানা যায়। দুই পরিবারকে দুটি পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। কে কাকে কিভাবে শায়েস্তা করবে সেই চেষ্টায় লিপ্ত। অনুসন্ধানে জানা যায়, মসজিদ কমিটি নিয়ে রায়পুর ও কালাইরকান্দি গ্রামের দুটি গ্রুপ আগে থেকেই মামলা মোকদ্দমা নিয়ে লড়াই করছে। এখন ধর্ষণের বিষয়টি তাদের মধ্যে আগুনে ঘি ঢেলে দেবার মতোই কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.