হালিম সৈকত,কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার তিতাসে সংখ্যালঘু হরেকৃষ্ণ হত্যা মামলার আসামী মজিবুর রহমান এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নিহত পরিবারের কাছ থেকে।
জানা যায়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হরেকৃষ্ণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মজিবুর রহমান ওরফে মজিব এর নাম উল্লেখ করে আরো ২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে গত ১১ জুলাই সোমবার তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের ছেলে হেলাল চন্দ্র। তিতাস থানার মামলা নং০২
তাং-১২/০৭/২০২২ ইং (ধারা ৩০২/ ৩৪) পেনালকোড মামলাটি রুজু করা হয়।
বাদীর দায়েরকৃত এজাহার ভুক্ত আসামী হলো তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের জগতপুর(তালুক পাড়া) গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে মো. মজিবুর রহমান ওরফে মজিব (৪৫) সহ আরো আজ্ঞাত ২ জন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়,গত ১১ জুলাই সোমবার সকাল অনুমান ৮ টার দিকে জগতপুর (ভাটিপাড়া) গ্রামের সংখ্যা লঘু হরেকৃষ্ণ
উজিরাকান্দি গ্রামের চক থেকে গুরুর ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে মজিবুর রহমান ওরফে মজিব এর জমির আইল দিয়ে আসার পথে তাকে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে মজিবুর রহমান ওরফে মজিব এর সাথে সংখ্যা লঘু কৃষক হরেকৃষ্ণ এর কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আসামি মজিবুর রহমান ওরফে মজিবসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২ জন হাতে ধারালো ছেনী দিয়ে সংখ্যালঘু কৃষক হরেকৃষ্ণকে আক্রমণ করে মারধর শুরু করে। উল্লেখিত আসামি মজিবুর রহমান ওরফে মজিব এর হাতে থাকা ধারলো ছেনী দিয়ে সংখ্যা লঘু হরেকৃষ্ণ এর বাম হাতের কবজির উপর ২টি কোপ মেরে রক্তাক্ত কাটা জখম করে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে থাকা পানির মধ্যে চুবাইয়া গুরুতর জখম করে। তখন কৃষক হরেকৃষ্ণ এর ডাক চিৎকারে ছেলে হেলাল চন্দ্রসহ আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে আশংকা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই এলাকায়ই আছেন। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।তবে এলাকার একটি চক্র রফাদফার চেষ্টা করছে বলে এমনটাও শোনা যাচ্ছে।