হালিম সৈকত, কুমিল্লা থেকে :
কুমিল্লার তিতাসে ১৫০ বছরের বাজার রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলরামপুর এলাকাবাসি।
আজ শনিবার ১৮ জুন সকাল ১১ টায় ৩ নং বলরামপুর ইউনিয়নের নয়া বাজারে এই মানববন্ধনটি ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্নেলনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট বাজার রক্ষার দাবীতে দেয়া আবেদনপত্রটি পড়ে শোনান বলরামপুর গ্রামের কৃতি সন্তান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ তিতাস উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম আল আমিন ভূইয়া। এ সময় বক্তব্য রাখেন বলরামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান কিরণ, তিতাস উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ প্রচার সম্পাদক আব্দুল হালিম ভূইয়া, মায়ের দোয়া ফার্মসীর স্বত্ত্বাধিকারি আলী আকবর, সাবেক মেম্বার রাইজুদ্দিন, ব্যবসায়ী মোঃ কবির হোসেন, হামিদ মেম্বার, হেলাল ভূইয়া, নূরে আলম, সাইফুল ইসলাম ও বাদল প্রমূখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, নয়া বাজার ১৫০ বছরের পুরনো একটি বাজার। বাজারটিতে প্রায় ৩০টি দোকান রয়েছে। বেশির ভাগ দোকানদারই গরিব, অসহায় ও ভূমিহীন। দোকান উচ্ছেদ করা হলে এই ৩০ টি পরিবার না খেয়ে থাকবে। প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার জন্য উত্তর বলরামপুর, দক্ষিণ বলরামপুর, কাপাসকান্দি, দূর্গাপুর, উত্তর নারান্দিয়া, চরেরগাঁও এর লোক আসে এই বাজারে। তাছাড়া সরকারি নথিতে ২৬৫১ দাগে জায়গাটি বাজার হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
সরকার গুচ্ছ গ্রাম করে ভূমিহীনদের থাকার জায়গা করে দিচ্ছে, এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। সারা বিশ্বে এটি একটি মডেল। কিন্তু গুচ্ছগ্রাম করার জন্য কেন একটি প্রতিষ্ঠিত বাজারকে ধ্বংস করা হবে? বলরামপুরে অনেক খাসজমি পড়ে আছে, সেগুলো ব্যবহার করলে কারো আপত্তি থাকবে না। একজনকে ক্ষতি করে অন্যের উপকার করার কথা সরকার বলেনি। পতিত জমির উপর গুচ্ছগ্রাম তৈরির কথা বলা হয়েছে। তারা আরও বলেন, দাবী মোদের একটাই নয়া বাজার রক্ষা চাই। প্রয়োজনে সরকার টেক্স কিংবা ইজারা দিয়ে হলেও বাজারটি সকলকে বুঝিয়ে দিক।
বিষয়টি বিবেচনার জন্য তারা কুমিল্লা ২ আসনের এমপি সেলিমা আহমাদ মেরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম মোর্শেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান ফরহাদ আহম্মেদ ফকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন ও বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূর নবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।