বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় একটি ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। ঘটনাকে ইঙ্গিত করে ভিকটিম বা অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম পরিচয় গোপন রেখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জন্ম দিয়েছে কৌতুহলের ।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের হাসেরখোলা গ্রামে কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম ভূইয়া গত ১১ জানুয়ারী তার ফেসবুক পেইজে লিখেন- “ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের হাসেরখোলা গ্রামে একটি বোকা মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে. শুনতে পেলাম অনেক পত্রিকার সাংবাদিক ভাইয়েরা এবং এস আই এমদাদ সাহেবও ঘটনা পরিদর্শনে গিয়ে ছিলেন। মেয়ের বাবার সাথে কথা বলেছেন এবং আমার সাথে বলেছেন ঘটনা সত্য। তাহলে কোন কারণে ধর্ষণকারী আড়াল হতে চলেছে। কারা এটা নিয়ে ছিনিমিনি করছে, তার রহস্য কি? আমি মাসুদ আলম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অনুরোধ করছি মাননীয় উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে এবং দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। ”
একইদিন বিকাল সাড়ে তিনটায় আরেকটি লেখা দেন যা এরকম-“ প্রানপ্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের হাসেরখোলা গ্রামের ধর্ষণ হওয়া মেয়েটিকে নিয়ে একটি মেয়ে কুমিল্লা গিয়েছে, ঘটনা আড়াল করার জন্য। (আজ) মেয়ে ও বাবাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে দূরে সরিয়ে রেখেছে। নিমক হারামরা জানেনা একটি অন্যায় দশটি অন্যায়ের জন্ম দেয়। এদের কারণে সমাজে অন্যায় অত্যাচার, অবিচার, মাদক অপকর্ম চলছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায়না। সাংবাদিক বন্ধুগণ এবং প্রশাসনকে অনুরোধ করছি, ধর্ষণ হওয়া মেয়েটি ও তার বাবাকে লুকিয়ে না রেখে জনসম্মুখে জিঞ্জাসাবাদ করা হউক।