নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার মুরাদনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে কোপানোর মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেপ্তারের পর একদিনেই জামিনে মুক্ত ।
অন্য দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিক শরীফুল মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল আউয়াল গন-মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাংবাদিক শরিফুলের দুই হাত ও দুই পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে সাতটি জায়গায় হাড় ভেঙে গেছে। শরীরে ধারালো অস্ত্রের বেশ কিছু ক্ষত আছে। শরিফুল এখনও বিপদমুক্ত নন।
শরীফুলের বাবা জানান, গত শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে শরীফুলকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির ওঠানে এনে দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার দুই হাত পা ভেঙে দেয়। তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এসময় শরীফুলকে বাঁচাতে এলে মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও বৃদ্ধ মাকে কুপিয়েও আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাংবাদিক শরিফুলের বাবা।
পুলিশ ঘটনার মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে রবিবার চেয়ারম্যানকে থানা থেকে জেলহাজতের উদ্দেশ্যে আদালতে হাজির করলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জামিনের আবেদন করেন।
কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ জানান, জামিনের জন্য ভার্চুয়াল আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮নং আমলী আদালতের বিচারক গোলাম মাহবুব খান চেয়ারম্যান শাহজাহানের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, শরীফুলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরইমধ্যে এমন নৃশংস ঘটনার মূলহোতা জামিনের খবরে এখন তিনিও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।