কুমিল্লার লাকসামে স্কুল শিক্ষকের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উদাও

অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রী ২সন্তান নিয়ে স্কুল শিক্ষকের সাথে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার লাকসাম উপজেলার মুদাফরগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে। ঘটনা জানাজানির পর এ নিয়ে এলাকায় মুখরোচক নানা সমালোচনা ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

স্হানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, উপজেলার মুদাফরগঞ্জ (দঃ) ইউনিয়নে চিতোষী বাজারে “সতদল শিশু নিকেতন” স্কুলের শিক্ষার্থী লক্ষিপুর গ্রামে চেয়ারম্যান বাড়ীর প্রবাসী মিলনের দুই সন্তান। ঐ স্কুলে দুই সন্তান নিয়ে নিয়মিত আসা যাওয়ার মাঝে স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিল্লাল সাথে পরিচয় হয় ২সন্তানের জননী তামান্নার সাথে । এক পর্যায়ে শিক্ষক বিল্লাল ও প্রবাসীর স্ত্রী তামান্না দুজনেই পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষক বিল্লাল হোসেন একই ইউনিয়নে জর্দানপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে। গত (১০ জানুয়ারি) রবিবার প্রবাসীর স্ত্রী তামান্না বেগম তার স্বামীর গড়া আলিশান বাড়িঘর ও কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে দুই সন্তানকে নিয়ে শিক্ষক বিল্লাল হোসেন সাথে উধাও হন অজানায়। পরে তামান্না ও তার সন্তানদের খোঁজ খবর না পেয়ে স্বজদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে । উধাও থাকার খবরে এলাকায় সর্ব মহলে সমালোচনা কানাঘুষা শুরু হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ও প্রবাসীর স্ত্রী তামান্না বেগমের মোবাইল ফোন দুটোও বন্ধ রয়েছে বলে তাদের স্বজনরা জানান। এ বিষয়ে শিক্ষককে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তড়িঘড়ি করছেন স্কুলের কর্তৃপক্ষ ঘটনা ধামা চাপা দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। গণমাধ্যম কর্মী পরিচয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে-ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত বিল্লালের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাই গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। কোথায় আছে আমরা জানিনা।

ভুক্তভোগী প্রবাসী মিলনের কাকা মোতাহের হোসেন বলেন, মিলন প্রবাসে জাওয়ার পর তার বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। তার মা ঢাকায় বোনের বাসায় থাকেন। এলাকায় শুনেছি গত কয়েকদিন আগে নাকি বিল্লালের সাথে তার স্ত্রী ২ সন্তান নিয়ে পারোকিয়া প্রেমের জেরে পালিয়েছে ।
এ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল রশিদ সওদাগর কে তার মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.