এম শাহীন আলম :
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের জাগুরঝুলী এলাকায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে আবাসিক বডিংয়ের আড়ালে কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের দোতলায় সাইনবোর্ড বিহীন হোটেল নীল পদ্ম আবাসিক,
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, হোটেলটি বিগত দিনে বেশ কয়েকবার সিলগালা করার পরও হোটেলের মালিক বিশেষ কায়দায় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেহব্যবসার পাশাপাশি মাদকের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, জানা যায়,এই হোটেলটি দেহ ব্যবসার হোটেল নামেই সু- পরিচিত,গত কয়েক বছরে হোটেলটি একাধিকবার র্যাব,পুলিশ প্রশাসন বন্ধ করার পরও কয়েকদিন পর পুনরায় হোটেল মালিক স্হানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর অবৈধ দেহ ব্যবসাসহ মাদক আড্ডা ঘর হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছে,সরেজমিনে আরো জানা যায়, কুমিল্লার স্হানীয় নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ী ও হাইওয়ে থানার কিছু অসাদু পুলিশের ছএ-ছায়ায় হোটেলটির মালিক আবাসিক বোডিং এর আড়ালে দেহ ব্যবসাসহ মাদকের আড্ডা খানা বানিয়ে রেখেছে হোটেলটিকে, অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ঝাগুর ঝুলীর আশপাশ এলাকার স্হানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের জানান দীর্ঘ বছরের পর বছর হোটেলটিতে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে ,এতে করে হোটেলটির আশপাশ এলাকার উঠতি বয়সের যুবক ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে,হোটেলটিতে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদকের আড্ডা থাকায় এলাকার ছেলেরা সহজে মাদকে আসক্ত হচ্ছে,সরেজমিনে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে হোটেলটিতে কোন প্রকার সাইনবোর্ড বিহীন ভাবে এসব অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে,এলাকাবাসী আরো জানায় হোটেলটির মালিকের বাড়ী কুমিল্লার অন্য একটি উপজেলায় হলেও স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সেল্টারে এবং স্হানীয় প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের সাহায্যে বছরের পর বছর দেহ ব্যবসা ও মাদকের আসর চালিয়ে যাচ্ছে, স্হানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের সাথে রফা করেই তারা প্রকাশ্যে মাদক এবং দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ না করে এমন জগন্য কার্যকলাপ কখনো সম্ভব নয়,এলাকাবাসী ও সচেতন মহল হোটেল টি জরুরী বন্ধের জোর দাবী জানাচ্ছে এবং কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার সহ র্যাব প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, প্রশাসনিক ব্যবস্হা না নেওয়া পর্যন্ত পরবর্তী অনুসন্ধানে ধারাবাহিক ভাবে নিউজ চলবে…