কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা নগরীতে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫০) ও তাঁর সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহাকে (৫৫) এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যায় জড়িত হিট স্কোয়াডে থাকা অপর দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা আসামীরা হলো নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (৩০) এবং জেলার চৌদ্দগ্রামের গুণবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. রিশাত ওরফে নিশাত (২৫)।
গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এলআইসি টিম ইনচার্জ পরিমল দাস। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্তকৃত কিলিং স্কোয়াডে সরাসরি অংশ নেয়া সদস্য নাজিমকে সোমবার রাত ৯টায় এবং রিশাতকে রাত ১০টায় তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিশাত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা। তাদেরকে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।এর আগে পুলিশ জানিয়েছিল, সোহেল ও হরিপদকে গুলি করে হত্যার সময় হিট স্কোয়াডে ছিলেন ছয়জন সন্ত্রাসী।
এঁরা হলেন- মামলার এজহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন, এজাহারবহির্ভূত স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত সন্ত্রাসী নিশাত। সর্বশেষ পুলিশ জানতে পারে, রিশাত ওরফে নিশাতের বাড়ি ফেনী নয়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। এই ছয়জনের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন প্রধান আসামী শাহ আলম, সাব্বির ও সাজন। জেল সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে রিমান্ড শেষে এখন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।