বিশেষ প্রতিনিধি :
এবার কুমিল্লায় মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রী কে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ সড়ক ভবন মসজিদের মোয়াজ্জিনের দায়িত্বে থাকা মাজহারুল ইসলাম বাবুল (৩০) এর বিরুদ্ধে। সে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যম আশরাফপুরের অস্থায়ী বাসিন্দা। চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া এলাকার শহ আলম এর ছেলে।
গত ১অক্টোবর কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে বাদী হয়ে ধর্ষিতার স্বামী সদর দক্ষিণ উপজেলার আশ্রফপুরের বাসিন্দা নাসির তালুকদার মোঃ নাছির তালুকদার (৩১), স্ত্রীকে ধর্ষণের দায়ে কুমিল্লা সড়ক ভবন মসজিদের মুয়াজ্জিন মাজহারুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন, মামলা নং সিআর -৭৩০।
মামলার বাদী নাছির তালুকদার অভিযোগে বলেন, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৭) কুমিল্লা মধ্যম আশরাফপুর হাজী আবদুল্লাহর বিল্ডিং এর নিচ তলায় দুই পরিবার মিলে তিনটি রুমে সাবলেট ভাড়া থাকতেন। আমি কর্মের তাগিদে লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার দারুস সুন্নাহ সালেহা মাদ্রাসার হেফজখানার শিক্ষকতা করি, আগে আমি কুমিল্লার একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতাম, গত এক বছর যাবৎ আমি এই মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করি এবং প্রতি মাসে দুই/তিনবার আমার স্ত্রী সন্তানদের দেখভাল করার জন্য কুমিল্লা আসা যাওয়া করি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার ধর্ষক মাজহারুল ইসলাম বাবুল তার স্ত্রী সন্তানদের বাপের বাড়ীতে বেড়ানোর জন্য পাঠিয়ে দেয়। এই সুযোগে আসামী মাজহারুল ইসলাম বাবুল আমার স্ত্রীকে সুকৌশলে বুকে ব্যাথা উঠার কারণে ঔষুধ খাওয়ানোর নাম করে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে দেয়।
এক পর্যায়ে ঘটনার দিন ২৬ সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার (রাত আনুমানিক ১১টায়) ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস তাহার শরীরে ব্যাথা অনুভব করলে চোখ খুলে দেখতে পায় ধর্ষক মাজহারুল ইসলাম বাবুল তাহাকে ধর্ষণ করতেছে। মামলার এজহারে জান্নাতুল ফেরদৌস জানায়, আমি তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ধস্তাধস্তি করলে আমার দুই মেয়ে বাচ্চা সন্তান, নাজিয়া আক্তার (৭) নাবিহা আক্তার (৪) ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করিলে ধর্ষক মাজহারুল ইসলাম বাবুল তাদেরকে স্কেল দিয়ে বেধড়ক পেটায়। মাজহারুল ইসলাম বাবুল জোর করে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় মোবাইল ফোনে স্থির ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে । পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী মোঃ নাছির তালুকদার কে ঘটনা মোবাইল ফোনে জানালে সে আমার ধারণকৃত ভিডিও চিত্র ও ছবি ফেসবুক বা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া সহ আমার স্বামীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এই অবস্থায় আমি আর কোন উপায় না পেয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে বাদী হয়ে মাজহারুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করি, আদালত মামলার এজহার এবং ভিকটিম (জান্নাতুল ফেরদৌস) সাথে কথা বলে মামলাটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি এফআইআর এর নির্দেশ প্রদান করেন।