কুমিল্লায় সেলুন দোকানে যুবকের বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার

অপরাধ

এম আর রানা :
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন মার্কেটে একটি সেলুন দোকানে বস্তার ভেতর পা ও গলাকাটা যুবক দেলোয়ার হোসেন (২৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার ( ২০ আগস্ট) রাত ৮ টায় সীনেমা হল সংলগ্ন ময়নামতি সেনা মিলনায়তনের মার্কেটের লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামের দোকানে রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায় । সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে । প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ রাত সাড়ে ১১ টায় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনার পর থেকে সেলুনের মালিক লক্ষণ পলাতক রয়েছে। সে সদরের আমতলী এলাকার মৃত নিখিল চন্দ্র শীলের ছেলে । তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে।

নিহতের স্ত্রী সালমা আক্তার ও ছোট ভাই রবিন জানান, ময়নামতি ফরিজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে থাকতেন নিহত দেলোয়ার। সে পেশায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবাসায়ী । বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় আনুমানিক ১১টা স্ত্রী তাকে ফোন দিলে দেলোয়ার জানায় সে লক্ষণের সেলুন দোকানে আছে। রাত ১ টায় মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায় । শুক্রবার সকালে কোথাও খুজে না পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা সাধারণ ডাইরি করা হয়। পরবর্তী পরিবারের সন্দেহ হলে দোকানের তালা ভেঙ্গে বস্তার ভেতর দেলোয়ারের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় ।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিট, পিবিআইসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সহ পুলিশের একাধিক টিম আলামত সংগ্রহ করেছিলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সোহান সরকার পিপিএম বলেন, নিহত দেলোয়ারকে গলা ও পা কেটে বস্তার ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি দোকানের মালিক লক্ষণের সাথে নিহত দোলোয়ারের টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল । তবে ঘটনার পর থেকে লক্ষণ শীল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন লক্ষণের মাকে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.