কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা ইপিজেড এর কর্মকর্তা খাইরুল বাশার সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ মহিউদ্দীন (২১) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা। শুক্রবার (৭মে) ভোর রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। কোম্পানী কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাবের তথ্য মতে জানা যায়,বাসার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দীন নগরীর দক্ষিণ চর্থার মৃত আবদুল হকের ছেলে। মূল আসামীসহ আরও সাত থেকে আট জন এ হত্যার সাথে জড়িত। তারা সবাই কিশোর গ্রুপের বা গেং এর সদস্য বলে জানা যায় । তারা দীর্ঘদিন নগরীতে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত।
র্যাব ১১ সিপিসি ২ এর উপ-পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, বাশার হত্যার সকল আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে কিছু তথ্য দিয়েছে। সে সূত্রেই অপর আসামীদের ধরতে কাজ করছে র্যাব। খুব শীঘ্রই বাকী আসামীরাও গ্রেফতার হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল কুমিল্লা ইপিজেডের সামনের সড়কে একটি চায়না জুতা কোম্পানির কর্মকর্তা বাশারকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। নিহত খায়রুল বাশার সুমন (৩০) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের মোহাম্মদ মমিন মাস্টারের ৩য় ছেলে। তিনি কুমিল্লা ইপিজেডে সিং সাং সু নামে একটি চায়না কোম্পানিতে মানব সম্পদ উন্নয়ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার বিকেলে ইপিজেড থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইপিজেড গেইট সংলগ্ন রোসা ও স্বপ্ন সুপার সপের সামনে সুমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসারের ভাই মহিউদ্দিন কে প্রধান আসামি করে সদর দক্ষিন থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি গতকাল জেলা গোয়েন্দা তদন্তের দায়িত্ব পায়।