নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালির বাজার ইউনিয়নের কমলাপুর (চৌধুরী বাড়ি) গ্রামের ড্রাইভার আলী আকবর বাচ্চু খুনের ঘটনার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও আসামীদের কেউই গ্রেপ্তার হয়নি এখনো। উল্টো আসামীরা মামলার বাদি নিহতের তৃতীয় স্ত্রী আনারকলি বেগম তার দুই কন্যা সহ দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা বেগম ও তার কন্যাদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে। অন্যথায় তাদেরকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, খুন ও গুম করার হুমকিতে আতংকিত পরিবারের সদস্যরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার ও বাদীর নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার বিকেলে নাজিরা বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদি সহ নিহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এসময় সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদি ৩য় স্ত্রী আনার কলি, কন্যা ফারহানা আক্তার, বোন রেহানা আক্তার ও শিরিনা আক্তার বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নিহতের ২য় স্ত্রী রেহেনা বেগম, কন্যা জিন্নাত আরা, জান্নাত আক্তার, নিহতের বোন রেহানা বেগম, আয়শা বেগম, শাহানারা বেগম, জাহানারা বেগম ও রুমি আক্তার সহ অন্যান্যারা।
জানা যায়, সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে গত ২৫ মে পবিত্র রমজান ঈদের দিন সকালে নিহত ট্রাক চলক আলি আকবর বাচ্চু ড্রাইভারের প্রথম স্ত্রী’র সহযোগিতায় তিন পুত্র খোকন, ছোটন ও রোকন নিজ বাড়িতে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। ৯৯৯ নাম্বারে খবর পেয়ে পুলিশ এসে আহত বাচ্চু মিয়াকে উদ্ধার করে করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার ৫দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১লা জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এঘটনায় নিহতের ৩য় স্ত্রী বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত তিন ছেলে রোকন, ছোটন ও খোকন ও প্রথম স্ত্রী রৌশন আরা কে আসামী করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের কন্যা ফারহানা, নিহতের বোন শিরিন ও স্ত্রী তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে বাচ্চু ড্রাইভার কে কুপিয়ে হত্যার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এনিয়ে নিহতের স্বজনদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
মামলার বাদি আনারকলি বগম জানান, পুলিশ আসামীদের কাউকেই এখনো গ্রেফতার করেতে পারছে না। এদিকে আসামীরা মামলা তুলে নিয়ে আপেষ রফা করে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ দিচ্ছে। হত্যাকারি খোলা ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদের হুমকি ধমকিতে আতংকের মাঝে দিন পার করছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের এসআই ফারুক বলেন, আসামীরা এলাকায় নেই, পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা করা সম্ভব হচ্ছে না। অভিযান অব্যাহত আছে, আশাকরি দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।