কুষ্টিয়ায় প্রেমের ডাকে সারা দিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রান হারালো সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী জয়া

অপরাধ

বাহাদুর চৌধুরী :
কুষ্টিয়া কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায়, জিয়া উদ্দিনের মেয়ে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীর জয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে। এটা আত্মহত্যা না হত্যা ? এই নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

এলাকাবাসী জানায় একই এলাকার জসিম মালিথার ছেলে লিমন মালিথার সাথে জিয়ার মেয়ে জয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো গত সাত আট মাষ। হটাৎ করে জয়া গাছে ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এবং লাশের পাশেই জয়ার ব্যবহৃত পোষাকের ব্যাগ পাওয়ায় বিষয়টি আরো পরিষ্কার বোঝা যায় যে ঐ রাতে প্রেমিক লিমনের ডাকে সারা দিয়ে ঘর ছেরে ছিলো জয়া?

মেয়ের মা জানায় তার মেয়ে জয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এবং গত এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে ছিল লিমন। আমি আমার মেয়েকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার ফেরত নিয়ে আশি। তার পর জয়া বাড়িতেই ছিলো। গত মঙ্গলবার দিবা গত গভীর রাতে তার মেয়েকে লিমন ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি লিমনে সর্বচ্চ সাজা চাই প্রশাসনের কছে।

মেয়ের বাবা বলেন ৭। ৫ ২০২০রাত ১ টার দিকে মেয়েকে ঘরে দেখতে না পেয়ে বড়ির লোক জন খোঁজা খুজি করে লিমনের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে লিমনকে বাড়িতে দেখতে পান। তার মেয়ে কোথায়? জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন আমরা জানিনা।

মেয়ের চাচা জানান প্রথম যখন লিমনের বাড়ি যাই তখন গভির রাত, তার পরনে পেন্টি শাট দেখে আমাদের মনে সন্দেহ হয়, পড়ে আবার লিমনের বাড়িতে খুজতে গিয়ে লিমনকে আর বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ঐ রাতে খোঁজাখুঁজি করে জয়াকে পাওয়া যায়নি।

ভোরবেলা মেয়ের বাড়ির পাশের এক বৌ তার বাড়ির পিছনে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত জয়ার লাশ দেখে চিত্কার করে লোক ডাকে।

পুর্বে শত্রু আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলা?
মেয়ের চাচি ও প্রতিবেশী জানায় গত ঈদের মেলায় ঐ মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন লিমন। এই দেখে এলাকার কিছু যুবক ছেলে তাকে মারধর করে পরে বাড়ির আশপাশের লোকজন কে বলে জয়ার বাবা আমাকে লোক দিয়ে মার খাইয়েছে আমি এর বদলা নেব।

জয়ার পরিবার ও এলাকা বাশি দাবী করেন লিমন ও তার সহজগিরা জায়াকে শারিরীক নির্যাতন করে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
এই জঘন্য হত্যা কান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে খুনি লিমন ও তার সহযোগীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী ।

এদিকে ঐ এলাকার একজনের ফোন দিয়ে ছেলের বাবা জসিমকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করে, সাংবাদিকের কথা শুনে ফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ছেলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মুঠো ফোনে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমানের নিকট মৃত্যু বেপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না তবে আমরা তদন্ত চালাছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.