বাহাদুর চৌধুরী :
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করছে অসহায় গৃহবধু। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার সময়। উক্তবিষয় খোজ খবর নিয়ে জানাযায় তাদের বিয়ে হয় ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসের ২০ তারিখে। নিকাহনামা অনুযায়ী মিরপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাদের বিয়ে পড়ান। মেয়েটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন মোহিনী মিলের ডাকঘর অর্ন্তগত জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকার বিশু আলী মেয়ে রাবেয়া খাতুন, ছেলের বাড়ি একই জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া ডাকঘর অর্ন্তগত জুগিয়া হাটপাড়া এলাকার তিজারত আলী ছেলে রুমন আলী,এ বিয়ে আনুষ্ঠানিক করার জন্য ছেলের বাবা মেয়ের বাবার কাছে সময় চেয়ে নেই। কিছু দিন যাওয়ার পরে ছেলের পক্ষের আত্মিস্বজন মেয়ের বাবার কাছ থেকে নগদ চার লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। এতে মেয়ের পক্ষের লোকজন দিতে অস্বীকার করায়। হঠাৎ করে মেয়ের কাছে একটি নোটিশ পাঠায় কিন্তু সেটা কিসের নোটিশ তা পড়ে দেখেনি রাবেয়া, এর পর থেকে স্বামীর বাড়িতে বউকে ঢুকতে দিচ্ছে না মেয়েটির স্বামি সহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন, আত্বীয় স্বজনরাও কোন উপকার করছে না।
রাতের অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচে একা- একা দাড়িয়ে কানছে মেয়েটি। ঢুকতে দিচ্ছে না স্বামীর গৃহে। মেয়েটি এখন কোথায় যাবে সে কি কোন সহযোগিতা পাবে না ঔ এলাকার কাউন্সিলর ও সমাজের সমাজপতিরাও অসহায় গৃহবধুকে কোন সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করছে মেয়েটির গর্ভধারিনী মা।
সে আরো বলে চার লক্ষ টাকা দাবি করছে তার জামাই সহ- মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
এ বিষয়ে জুগিয়া হাটপাড়া ১৫ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহিদুলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানি তারা দুজনে বিয়ে করেছে। তাদেরকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ছেলে পক্ষের লোকজন কোন কথা শোনে নাই।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা কে ফোন করিলে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জানান তাদেরকে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। অভিযোগ ছাড়া আমি কিছু করতে পারব না, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।