সুমাইয়া আক্তার শিখা :
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা খাতুন (৩২) নামে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মৃত ছেলেসন্তান প্রসব করেন। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মৃত সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তাঁর।
এদিকে শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাসে রহিমার মৃত্যু হয়। রহিমা খাতুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের আজমপুর এলাকার আশরাফুল আলমের স্ত্রী। তিনি হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন।হাসপাতাল ও আত্মীয়স্বজন সূত্রে জানা যায়, স্কুলশিক্ষিকা রহিমার শরীরে জ্বরসহ করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দেয় ২০ জুলাই। তাকে করোনা হাসপাতালে আনা হয় ২৩ জুলাই। নমুনা দেওয়ার পর পজিটিভ শনাক্ত হলে তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ২৬ ঘণ্টার ব্যবধানে শিশু ও মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
রহিমার স্বামী আশরাফুল আলম জানান,বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ রহিমা খাতুন পেটে ব্যথা অনুভব করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নার্স ও আয়ারা ওয়ার্ডের ভেতরে বাচ্চা প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত ছেলেসন্তান প্রসব করেন রহিমা। এর পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রহিমার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক তানমিনা তাবাসসুম বলেন, বৃহস্পতিবার রহিমার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৫৫-৬০ ওঠানামা করছিল। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলায় অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল তাকে। চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আক্রামুজ্জামান মিন্টু জানান, করোনায় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসা দেওয়া একটু কঠিন। তারপরও ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তার অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ চলছিল। এতে সাধারণত বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তারপরও চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চা ও মাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।