খুলনা মেডিকেলে শতাধিক রোগী অপেক্ষায়, ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকে

অপরাধ

খুলনা জেলা প্রতিনিধি :
সময় বেলা আড়াইটা। হাসপাতালের চিকিৎসকের রুমের বাইরে শতাধিক রোগীর লাইন। সকাল থেকেই তারা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা নেই।

দেখা মিলবে কীভাবে মেডিসিন বিভাগের সেই চিকিৎসক সুমন রায় হাসপাতাল রেখে প্রাইভেট ক্লিনিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন তখন।

খুলনা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালায়। অভিযানে এমন চিত্র দেখতে পান দুদক কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, অভিযানকালে সুমন রায়ের রুমে পাঁচটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের প্যাড পায় দুদক টিম।

দুদকের খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়ার নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদক জানায়, অভিযানকালে দুদক টিম বেলা ২.৩০ মিনিটে ডা. সুমন রায়কে কক্ষে পাওয়া যায়নি। অথচ তার কক্ষের সামনে শতাধিক রোগীকে সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

উপস্থিত রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এটা ডা. সুমন রায়ের প্রতিদিনের রুটিন। তার রুমে পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাড পাওয়া গেছে। যেগুলোর মাধ্যমে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বাইরে পরীক্ষা করতে বাধ্য করান বলে দুদকের কাছে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।

অভিযুক্ত ডা. সুমন রায় ও ক্লিনার মোঃ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে উদঘাটিত অভিযোগসমূহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের আলোকে তৈরি করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক জানায়।

দুদক আরো জানায়, উক্ত হাসপাতালের ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, আরপি, মেডিসিন ওয়ার্ড, খুলনা মেডিক‌্যাল কলেজ- এর রুমেও একটা প্রতিষ্ঠানের প্যাড পাওয়া গেছে। এছাড়া অভিযানকালে হাসপাতালের মর্গের পাশে একটা কফিন তৈরির কারখানা পাওয়া গেছে। যা উক্ত হাসপাতালে ক্লিনার মোঃ জাহাঙ্গীর অবৈধভাবে কফিনের ব্যবসা করে মর্মে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.