গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতির কর্ণধার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

অপরাধ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
বন্দর থানাধীন এলাকায় মাইজ পাড়া শফি ভবন নিচতলায় অবস্থিত রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি নামের এই প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত, সঞ্চয় ও ঋণদান কর্মসুচী চালুর মাধ্যমে ২০২৩ পর্যন্ত গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় মোঃ আবদুল্লাহ একুশের কন্ঠ পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন, এবং ঐ পত্রিকায় সাংবাদিক শাহানাজ পারভীন ও কাজ করেন। সাংবাদিক শাহানাজ পারভীন বন্দর থানাধীন এলাকায় দীর্ঘদিন একটা মেয়ে নিয়ে বসবাস করছেন,আরো জানা যায় ঐ এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সমিতির কর্ণধার মোঃ আবদুল্লাহ, তার সহকর্মী সাংবাদিক শাহানাজ পারভীনকে উক্ত সমিতি পরিচালনা করার নিমিত্তে  উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেন করেন এবং বেশ মোটা অংকের টাকা জমা হওয়ার পর গ্রহকের টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দেন।
এরপর গ্রাহকেরা প্রশাসনের সহযোগিতায় মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে খুজে বের করে। তখন আবদুল্লাহ প্রশাসনের নিকট প্রতিমাসে ১০০০টাকা করে পরিশোধ করার মুচলেকা দিয়ে গ্রাহকদের রোষানল থেকে মুক্ত হয়ে কিছুদিন ১০০০টাকা করে পরিশোধ করার পর পুনরায় গা-ঢাকা দেয়।

গ্রাহক-আরমান,খতিজা,আদিল, বানু,কোহিনুর, মাহবুবুল আলম, রানা দেব নাথ,পারভীন, আয়শা,ও অফিসের জমিদার  মোঃ শফি আহম্মেদ এই প্রতিনিধকে জানান-কিছুদিন গ্রাহকদের এক হাজার টাকা করে দিয়েছে, কেউ পেয়েছে কেউ পায়নি,এরপর আর কোনো খবর নেই, আমরা টাকা ও পাচ্ছি না,ফোনেও পাচ্ছি না।বাড়ির মালিক আরো বলেন-আমি সমাজে বসবাস করি। এই সমিতির কারণে আমার বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে, সারাদিন রাত ১০টা পর্যন্ত কাতারে কাতারে মানুষ এসে শাহানাজ কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, এবং আমার গেইট ভাঙার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে,আমি ও আমার স্ত্রী অসুস্থ। আমি আর কতো দেখতে পারি, কল করি  কল রিসিভও করে না এবং কোনো ভাড়া ও দিচ্ছে না, আমি বন্দর থানায় যাই এবং সেকেন্ড
অফিসার সাইদুল ইসলাম ও এসআই গফুর স্যারের সাথে কথা বলে তাদের হাতে ফোন করাই এবং তাদের ফোন ও রিসিভ করেনি। পাওনাদারদের কাছে শাহানাজ প্রতিনিয়ত হেনস্তা হচ্ছে।
আরমান নামের গ্রাহক বলেন- আপাকে বের করার জন্য একটা গ্রাহক হাত ধরে টানা টানির ঘটনাও ঘটিয়েছে। তারপর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা ও করতে গিয়েছিলেন। আমি আবদুল্লাহকে প্রশ্ন করলাম কার জন্য এই মহিলা অপমানিত হচ্ছে আপনার জন্য। ওনার সম্মান বাঁচানোর দায়িত্ব আপনার না? আমাকে বলেন অবশ্যই আমার। আর এখন দেখুন এই মানুষটার ফোন ধরছেনা। শাহানাজ পারভীনকে প্রশ্ন করলাম সবাই চলে গেছে আপনি কেন পালিয়ে যাননি, উত্তরে  শাহানাজ পারভীন বলেন- আমি পালাবো কেন, আমার সাথে কারো কোনো লেনদেন নেই, এবং আমি চোর নয়, আমি একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলাম। আর যদি পালিয়ে যেতাম তখন আবদুল্লাহ  আমাকেই সবার কাছে  চোর সাব্যস্থ করে সব দায় আমার ঘাড়ে চাপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.