কক্সবাজার প্রতিনিধি :
চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৪ রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে নয়াপাড়া শিবিরের ‘ই’ এবং ‘সি’ ব্লক এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে আহত কারো নাম-ঠিকানা জানাতে পারেনি কেউ।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মাঝে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক রোজী।
শরণার্থী শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে জকির ও আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একদল ডাকাত ই-ব্লকের কাপড় ব্যবসায়ী নুর নবীর কাছে চাঁদা দাবি করলে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এ সময় সাধারণ রোহিঙ্গারা ডাকাত দলকে ঘেরাও করে ফেলে।
একপর্যায়ে জকির গ্রুপের প্রতিপক্ষ সালমান শাহ ও খাইরুল গ্রুপ সাধারণ রোহিঙ্গাদের সাথে যোগ দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে জকির গ্রুপ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় তারা ৪০-৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে প্রায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি করতে করতে তারা স্থান ত্যাগ করে।
আহতদের উদ্ধার করে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। বাকি ৪ জন গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যৌথ টহলে নেমেছে র্যাবও। অপরাধীদের ধরতে সব রকমের চেষ্টা চালানো হবে।