অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চলতি বছর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চীন তার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে। এ বছর একই সঙ্গে উদযাপিত হবে ঢাকা-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ বছর।
তিনি বলেন, “গোটা বাংলাদেশ এ বছরটি ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করবে এবং এই মহামানবের প্রতি চীনা জনগণের সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য চীনা দূতাবাস আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান উদযাপনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।”
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লি জিমিং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় থিয়েটারে ‘হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ার গালা ২০২০, চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৪৫তম বার্ষিকী ও মুজিববর্ষ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, উন্নয়ন কৌশল এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মধ্যে যৌথ সহযোগিতা বাড়াতে ৪৫তম বার্ষিকীকে একটা বিরাট সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে হাত বাড়াতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সুবিধানীতির ভিত্তিতে গত ৪৫ বছর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক সময় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সম্পর্ক উন্নয়নের গতিশীলতা বজায় রাখতে পেরেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সময়ে রয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৯ সালে চীন-বাংলাদেশ জনগণ পর্যায়ে সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের চমৎকার উন্নয়ন ঘটেছে। এ সময় ৩৭ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটক চীন ভ্রমণ করেছে এবং পাঁচ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনে পড়াশুনা করছে
তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৫০ ও ১৯৬০ সালে তৎকালীন চীনা প্রধানমন্ত্রী চু এনলাই দু’দফা ঢাকা সফর করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও দুবার চীন সফর করেছিলেন।
লি বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অনেক আগেই আমাদের দুই দেশের প্রবীণ নেতারা বন্ধুত্বের বীজ রোপণ করেছিলেন। এটি এখন গভীর শিকড় গেড়েছে এবং সমৃদ্ধ ফলসহ একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ সময় তিনি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
পরে চীনের জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল থেকে আগত একদল শিল্পী বর্ণাঢ্য পরিবেশনা উপস্থাপন করে।
চীনা নববর্ষ সাধারণত গুও নিয়ান (অর্থাৎ নববর্ষ উদযাপন) হিসেবে পরিচিত। এটি চীনা সংস্কৃতিতে সর্বাধিক আনুষ্ঠানিক এবং আনন্দের সঙ্গে উদযাপিত উৎসব।
ঢাকায় চীনা দূতাবাস বিগত টানা দশ বছর ধরে বাংলাদেশে ‘হ্যাপি চায়নিজ নববর্ষ’ অনুষ্ঠান করে আসছে। এতে বাংলাদেশিরা চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।