বিশেষ প্রতিনিধি :
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ছাত্রজীবন শুরু করেন (বিএনপি) ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে। আর ছাত্রজীবন শেষ করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন মুরাদ হাসান বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সব সুবিধাই ভোগ করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্র রাজনীতিতে।
সূএ মতে জানা যায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৩০ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
তিনি ১৯৯৪ সালে ভর্তি হন। ঠিক এক বছর পরই তিনি তার দখলে নেন মমেক ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদকের পদটি। তৎকালীন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তাই মুরাদ হাসানও সরাসরি যুক্ত হন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে।
ঐ সময়ে ডা. মুরাদ হাসানের বাবা মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সহচরও ছিলেন। ১৯৯৮ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. বিজয় কুমার পাল জানান, ২৯ ব্যাচে একমাত্র আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি প্রকাশ্যে করতাম। এর পরের ব্যাচে মুরাদ ছিলেন।ওই ব্যাচে ছাত্রলীগের দেখা মেলেনি। তবে ৩১ ব্যাচের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আমার কমিটির সভাপতি ছিলেন আবদুল ওয়াহাব সরকার বাদল। আর এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বর্তমান সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। পরবর্তীতে ২০০০ সালে ডা. মুরাদ হয়েছেন মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি।
ডা. মুরাদের এক ব্যাচ সিনিয়র ও ৯৮’র মমেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইসহাক অনেকটা আক্ষেপের সুরেই জানান, বর্তমান তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান আদর্শচ্যুত হয়ে ছাত্রলীগের পদ বাগিয়েছেন তার পিতার জোরে। মুরাদ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থায়ই ক্ষমতার পালাবদল হয়। অর্থাৎ বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই আমলেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। মুরাদ হাসান ৯৫ সালে মমেক শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হয়েছেন। এর এক বছর পর আমরা মেডিকেল কলেজ ছাড়তে বাধ্য হলেও তিনি এক পদ থেকে আরেক পদে চলে যান। পার্থক্য শুধু দল আর আদর্শের।