বিশেষ প্রতিনিধি :
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত হাবিবুর রহমান কলেজে বিগত ১৩ মার্চ /২০ তারিখে অধ্যক্ষ নিয়োগ পদে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত নিয়োগ পরিক্ষায় নিয়মানুযায়ী ৩ জন প্রার্থী পর প্রতিযোগীতা মূলক পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তম্মধ্যে ছাইদুর ইসলাম লিখিত পরিক্ষায় নাম্বার বেশি পেয়ে প্রথম হন, লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা মিলে নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে ১ নাম্বার বেশি পান। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমিনুল ইসলামের কারসাজিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ও ডিজির প্রতিনিধির সাথে আতাত পূর্বক সভাপতির অগোচরে আগে রেজাল্ট শীটপরিবর্তন করে জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দির অধিবাসী ৭১ যুদ্ধঅপরাধী বলে খ্যাত আক্তারুজ্জামান উরফে আতর আলী সরকারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কে প্রথম দেখিয়ে তাড়াহুরা ফলাফল শীট ও কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে চলে যান তারা। পরে এলাকাবাসী ও সুধী মহল এবংদৈনিক আজকের জামালপুর প্রত্রিকার সূত্র থেকে জানাযায়, তারা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, প্রভাব খাটানো রেজাল্ডশীট সভাপতির সামনে উপস্থাপন করেন, সভাপতি রেজাল্ডশীট পরিবর্তন ও বিধি মাফিক কোরাম না হওয়ায় সভাপতি সুপারিশ পত্রে বা রেজাল্ডশীট স্বাক্ষর করেন নি । উল্লেখ্য যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্রে বলা আছে যে, প্রত্যেক প্রার্থীর ৫ বছরের সহকারি অধ্যাপকের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই বাছাইতে ৩ জনের মধ্যে দেখা যায় সাইফুল ইসলামের অভিজ্ঞতা ২০১৫ সালের এমপিও শীট অনুযায়ী তার বেতন কোড ০৭। কিন্তু তার চাকুরীর ৫ বছরের স্থলে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা আছে যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির পরিপন্থী। এরুপ অভিজ্ঞতাহীন প্রার্থী দ্বারা গঠিত কোরাম বিধি মাফিক নয় অবৈধ বা বাতিল যোগ্য। এ বিষয়ে অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সুধী মহলে গুঞ্জণ শুরু হয়েছে। দুর্নীতির আশ্রয়গ্রহন কারী যুদ্ধ অপরাধীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান অধ্যক্ষের নিয়োগ না পেয়েও সভাপতির অনুমতি ছাড়াই কলেজের কাজে প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে অবৈধভাবে পরিক্ষা গ্রহনপুর্বক নিয়োগের বিরোদ্ধে এলাকায় মিশ্রপ্রতিক্রীয়া বিরাজ করছে। সূধী মহল এর একটা সঠিক সুরাহ কামনা করছে।#এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সাড়াদেন নি।